বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জেলা বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলার ১৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই সংকল্প যাত্রা করবে দল। এদিন গান্ধী সংকল্প যাত্রার সূচনা হলেও আগামী ২১ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে দিনহাটা, কোচবিহার দক্ষিণ, সিতাই, শীতলকুচি বিধানসভা এলাকায় এই সংকল্প যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন জেলা বিজেপি সভানেত্রী মালতি রাভা রায় জানান, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অনুসারে এলাকার সংসদ সদস্য এই গান্ধী সংকল্প যাত্রার নেতৃত্ব দেবেন। তৃণমূল বা পুলিস বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।
নিশীথ প্রামাণিক এদিন জানান, আজ থেকে কোচবিহার জেলায় সংকল্প যাত্রার সূচনা করা হল। আমরা গান্ধীজিকে স্মরণ করে এই সংকল্প যাত্রা করছি। গোটা কোচবিহার জেলাকে যারা অশান্ত করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য আমাদের এই যাত্রা। কোচবিহার জেলাজুড়ে যেসমস্ত জনপ্রতিনিধি আমাদের দলে এসেছিলেন, তাঁরা তৃণমূলের সন্ত্রাস ও জুলুমবাজির জন্য আবার তৃণমূলে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বিধানসভা ভোটের আগে এরা সবাই আবার বিজেপিতে ফিরে আসবেন।
গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে লড়াই করেন এক সময়ের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের দাপুটে নেতা নিশীথ প্রামাণিক। রাজনৈতিক মহলের মতে নিশীবাবু তৃণমূলের একাংশকে কাজে লাগিয়েই লোকসভা নির্বাচনে বাজিমাত করেছিলেন। কিন্তু এরপরেই সংগঠন ও কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বিছিন্ন হয়ে পড়ে নিশীথ প্রামাণিকের। দিদিকে বলো কর্মসূচি নিয়ে পাল্টা এলাকা দখলে নামেন তৃণমূল কর্মীরা। কোণঠাসা হয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। এদিন নিশীথ প্রামাণিকের নেতৃত্বে সংকল্প যাত্রার সূচনা হওয়ায় মনোবল বাড়ল সেইসব বিজেপি কর্মীদের। লোকসভা নির্বাচনের পর জেলাজুড়ে বিজেপি যে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল, তা এই সংকল্প যাত্রা ফিরিয়ে দিতে পারবে কিনা, সেই জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
এদিন নিশীথ প্রামাণিক বলেন, তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি আমাকে ভোট দিয়েছেন এবং আমার হয়ে ভোট করিয়েছেন। জোর করে তাদের আটকে রাখতে পারবে না তৃণমূল।