রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
গত শনিবার আফগান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়ার একটি পাক সেনাঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনায় মৃত্যু হয় ৭ পাক সেনার। দামলার দায়স্বীকার করেছিল সদ্য গজিয়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠন ‘জইশ-ই-ফুরসান-ই-মহম্মদ’। পাকিস্তানের দাবি, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপির সদস্যদের নিয়েই তৈরি হয়েছে এই সংগঠন। সেনা আধিকারিকদের শেষকৃত্যে যোগ দিয়ে পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি বলেছিলেন, ‘সেনা জওয়ানদের মৃত্যু ব্যর্থ হবে না। এর প্রতিশোধ আমরা নেবই।’ হামলার জন্য আফগানিস্তানের দিকে আঙুল তুলেছিল পাকিস্তান। তাদের অভিযোগ, তালিবানের প্রশ্রয়েই নিষিদ্ধ সংগঠন টিটিপি আফগানিস্তানে ঘাঁটি গড়ে তুলেছে। যদিও সেই দাবি খারিজ করে তালিবান প্রশাসন। তারা জানায়, আফগানিস্তানের দিকে আঙুল তুলে নিজেদের ঘরোয়া সমস্যা, অযোগ্যতার দায় এড়াতে চাইছে পাক সরকার। দু’পক্ষের এই বাকযুদ্ধের মধ্যেই সোমবার আফগানিস্তানে এয়ার স্ট্রাইক চালায় পাকিস্তান। তালিবান মুখপাত্র জানিয়েছেন, এদিন সকালে দু’টি বিমান হামলা চালায়। পাক সীমান্তবর্তী খোস্ত ও পাকতিকা এলাকায় বোমাবর্ষণ করা হয়। পাক হামলায় সাধারণ মানুষের মৃত্যুর নিন্দা করেছে তালিবান। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতেই এয়ার স্ট্রাইক চালানো হয়েছে। এরপরই সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। তালিবান পাকিস্তানে পাল্টা হামলা চালানোর দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে, একাধিক ভারী অস্ত্র নিয়ে পাক সেনাঘাঁটিকে নিশানা করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় কেউ নিহত হয়েছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।