বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের খবর, বছর ঊনিশের যুবতী জ্যাকুলিন হার্নান্দেজ। বাড়ি ফ্লোরিডায়। মাত্র ছ’বছর বয়সে বাবা পাবলো হার্নান্দেজ তাঁকে জোর করে নিয়ে চলে যান। সাংসারিক অশান্তির কারণেই মা-মেয়ের এই বিচ্ছেদ। জ্যাকুলিনকে হারিয়ে একরকম বিষাদগ্রস্ত ছিলেন মা ভেন্সেস সালগাদো। মেয়েকে অপহরণের অভিযোগও তুলেছিলেন তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের খোঁজ পাননি সালগাদো। তাকে কোথায় রাখা হয়েছে, তা ঘুণাক্ষরেও জানতেন না। তবে, তাঁর বিশ্বাস ছিল, একদিন না একদিন মেয়েকে ঠিক ফিরে পাবেনই। সালগাদোর এই ফিরে পাওয়ার বিশ্বাসকে বাস্তবায়িত করে ফেসবুক। বেশ ক’বছর ধরে সালগাদোর ‘ফেসবুক ফ্রেন্ড’ ছিলেন জ্যাকুলিন। প্রথম আলাপচারিতায় সন্দেহ হয় সালগাদোর। জ্যাকুলিনের কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠান। সেখানে বাবার পরিচয় পেতেই নিশ্চিত হন সালগাদোর। কালক্ষেপ না করেই ক্লারমন্ট পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
পুলিস জানিয়েছে, মাস খানেক আগে জ্যাকুলিনের পরিচয়-তথ্য পাঠিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন সালগাদো। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে জ্যাকুলিনের খোঁজ শুরু করে পুলিস। ফেসবুকের তথ্যসূত্রে তাঁকে খুঁজেও পাওয়া যায়। যাবতীয় তথ্যের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি নিশ্চিত হয় সালগাদো-জ্যাকুলিন মা ও মেয়ে। তার পর গত ১০ সেপ্টেম্বর টেক্সাসে সীমান্তের ‘এন্ট্রি পয়েন্ট’ লারেডোতে দু’জনকে মিলিয়ে দেয় ক্লারমন্ট পুলিস।