বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তালিবানের বিশেষ অনুমতিতে খুশি বিমানবন্দরের কাজে যোগ দেওয়া ১২ মহিলা কর্মী। শনিবার বিমানবন্দরে ঢোকার মুখে দেখা যায়, আপাদমস্তক ঢাকা পোশাকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ছয় মহিলা কর্মী। তাঁরা নিজেদের মধ্যে কথা বলছেন, হাসাহাসি করছেন। বিমানবন্দরে আসা মহিলাদের তল্লাশি করছেন। তাঁদের মধ্যেই অন্যতম বছর পঁয়ত্রিশের রাবিয়া জামাল জানালেন, ‘পরিবারকে সাহায্য করতে আমার টাকার প্রয়োজন। তাই বাড়ি থেকে সাহস করে বেরিয়েছি। বাড়িতে খুবই চিন্তায় ছিলাম... খুব খারাপ লাগছিল। এখন অনেকটা স্বস্তি বোধ করছি।’ কিছুটা হলেও তাঁরা ফিরে পেয়েছেন পুরনো পরিবেশ। তবে অজানা ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখনও তাঁদের গলায় চাপা উদ্বেগ।
১৯৯৬ থেকে ২০০১। আফগানিস্তানের রাশ তালিবানের হাতে থাকাকালীন নারী স্বাধীনতা বলে কোনও বিষয় ধর্তব্যের মধ্যেই ছিল না। কেড়ে নেওয়া হয় পড়াশোনার অধিকারও। ফের ক্ষমতায় এসে নিজেদের কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসার পথ বেছে নিয়েছে তারা। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে নতুন আফগান শিক্ষানীতি ব্যাখ্যা করেন শিক্ষামন্ত্রী আব্দুল বাকি হাক্কানি। সেখানেই মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ছাড়ের কথা জানান তিনি। তাঁর কথায়, ২০ বছর আগে ফিরে যেতে চায় না তালিবান। সময়ের সঙ্গে তারা তাল মিলিয়ে এগতে চায়। হিজাব আবশ্যিক হলেও, মুখ বা মাথা ঢাকার বিষয়টি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি। তবে জানিয়েছেন, কোনওভাবেই ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে পড়তে দেওয়া হবে না। পুনর্বিবেচনা করা হবে পাঠ্যক্রমও। বিগত তালিব শাসনে গান ও শিল্পকলা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এবারে তেমন কিছু করা হবে কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি।
এদিকে, অধিকারের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরে পথে নেমেছেন আফগান মহিলারা। বন্দুক উঁচিয়ে তাঁদের শাসন করতে দেখা গিয়েছে তালিবদের। আবার সামনে এসেছে উল্টো ছবিও। শনিবার কাবুলের শাহেদ রব্বানি এডুকেশন ইউনিভার্সিটি চত্বরে তালিবান সরকারের সমর্থনে, হাতে তালিবান পতাকা নিয়ে মিছিল করেন প্রায় ৩০০ মহিলা। সরকার বিরোধী আন্দোলনের সমালোচনাও করেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাঘরে আয়োজিত একটি সম্মেলনে তালিবানপন্থী এক মহিলা বলেন, ‘আগের সরকার মহিলাদের সৌন্দর্য দেখে চাকরিতে নিয়োগ করত। প্রকৃত স্বাধীনতা তখন ছিল না।’ অর্থাৎ, ক্ষণে ক্ষণে বদল হচ্ছে পরিস্থিতির। আশা নিরাশার দোলাচলে মুক্তির প্রহর গুনছেন আফগান মহিলারা।