বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ঘটনাটি জাপানের। ট্যুইটারে আজুসাগাকুয়ুকি (@azusagakuyuki) নামে এক জাপানি বাইকারের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ফলোয়ারের সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি। বিভিন্ন ঝাঁ চকচকে, দামি স্পোর্টসবাইকের সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করতেন ওই ব্যক্তি। তবে, ছবিতে নিজের আসল চেহারা দেখাতেন না। ফেসঅ্যাপ এবং ফোটোশপের মতো সফ্টওয়্যারের সাহায্যে তরুণী সেজে ছবিগুলি পোস্ট করতেন তিনি। এতটাই নিখুঁত ছিল সেই কারচুপি যে কারও মনে এতটুকু সন্দেহ হয়নি। সবাই তাঁকে তরুণী বাইকার ভেবে বিস্তর লাইক ও কমেন্ট করতেন। এভাবেই দিন দিন বাড়ছিল তাঁর ফলোয়ার।
কিন্তু, বেশিদিন সেই সুখ টিকল না তাঁর কপালে। এক নেট-নাগরিকের ক্ষুরধার দৃষ্টির কাছে হার মানল প্রযুক্তির কারিকুরি। ওই বাইকারের সাম্প্রতিক একটি ছবি দেখতে গিয়ে ওই ট্যুইটার ব্যবহারকারীর চোখ পড়ে বাইকের লুকিং গ্লাসে। দেখেন, ছবিতে তরুণীকে দেখা গেলেও আয়নায় এক মাঝবয়সি লোকের আবছা প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে। ব্যস! বিশদে বিষয়টি জানিয়ে ওই ব্যক্তি ছবিটি ফের পোস্ট করতেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ‘ফ্যাক্ট চেক’ করতে ময়দানে নেমে পড়ে বেশ কয়েকটি জাপানি সংবাদমাধ্যম। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে সাংবাদিকরা শেষপর্যন্ত ওই বাইকারকে খুঁজে বের করেন। তারপরই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ে বিড়াল।
কেন করতে গেলেন এসব? সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে ওই ব্যক্তি সাফ জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ৫০ বছরের লোককে কেউ দেখতে চায় না। নিজের আসল চেহারার ছবি পোস্ট করে তিনি সেটা জেনে গিয়েছিলেন। একদিন ফোটোশপ, ফেসঅ্যাপের সাহায্যে মেয়ে সেজে ছবি দিতেই তাতে হাজার হাজার লাইক পড়ে। সেই থেকেই শুরু।