বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কি সেই কৌশল? জবাব পেতে ফিরে যেতে হবে ২০১৮ সালের জুন মাসে। ট্যুইটারে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন সোজি। লিখেছিলেন, ‘আমাকে ভাড়া নেওয়া যাবে। কিন্তু, আমি কোনও কাজ করব না। ’ তাহলে তাঁকে ভাড়া নিয়ে কী হবে? সেই প্রশ্নেরও জবাব ছিল ওই পোস্টেই। তিনি লেখেন, ‘আপনি কি একা দোকানে যেতে চাইছেন না? খেলতে বসার জন্য একজন সহযোগী খুঁজছেন? কাউকে আপনার পাশে চাইছেন? তাহলে আমাকে ভাড়া নিতে পারেন। তবে ছোট ছোট জিনিস ছাড়া আমি আর কিছুই করতে পারি না।’ দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এই ট্যুইট । সোজির সঙ্গ পেতে যোগাযোগ করেন অনেকেই। প্রথম দিকে বিনামূল্যেই পরিষেবা দিতেন। কিন্তু, ক্লায়েন্টের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে। অগত্যা, পরিষেবার জন্য অর্থ নিতে শুরু করেছেন সোজি। তাঁকে ভাড়া নিতে গেলে এখন ১০ হাজার ইয়েন দিতে হচ্ছে। সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ। আশ্চর্যের বিষয় তাতেও বিন্দুমাত্র কমেনি তাঁর চাহিদা।
৩৭ বছরের সোজির দাবি, এখনও পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন। দিনে ৩-৪ জন ক্লায়েন্ট তাঁকে ভাড়া নেন। চাহিদা অবশ্য আরও বেশি। কিন্তু, সময়ের অভাবে সকলের অনুরোধ রাখতে পারেন না। কারা ‘ভাড়া’ নেয় সোজিকে? জবাবে অভিনব এই পেশার ‘আবিষ্কর্তা’ জানিয়েছেন, কেউ লাঞ্চে নিয়ে যান, কেউ ছবি তোলার আবদার করেন। কারও হয়তো সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে। একাকিত্ব কাটাতে আমাকে ভাড়া নেন। আবার অফিসের কাজ করতে করতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া ব্যক্তিরাও ডেকে পাঠান। নিজের কাজ সম্পর্কেও যথেষ্ট ‘ফোকাসড’ তিনি। এক সাক্ষাত্কারে সোজি জানিয়েছেন, ‘আমি কারও বন্ধু বা সহযোগী নই। সম্পর্কের বিরক্তিকর বিষয়গুলির ধারপাশ দিয়ে যাই না। মানুষের একাকিত্ব কাটাতে সাহায্য করি।’ অভিনব এই পেশা বেছে নেওয়ার জন্য চাকরি পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছেন সোজি। নয়া কেরিয়ার নিয়ে লিখে ফেলেছেন একটি বইও। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত বাড়ছে তাঁর জনপ্রিয়তা। ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট দেখাচ্ছে, সোজির ফলোয়ার সংখ্যা ২ লক্ষ ৭০ হাজারের বেশি। কি ভাবছেন? এমন একটা পেশায় নাম লেখাবেন নাকি!