বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বস্তুত ওই সাক্ষাত্কারেই চার্লস ও তাঁর দীর্ঘদিনের বান্ধবী ক্যামিলা পার্কারের মধ্যেকার সম্পর্কের কথা জানিয়েছিলেন তত্কালীন প্রিন্সেস অব ওয়েলস। এমনকী, সম্পর্ক রাখার ব্যাপারে চালর্সের সঙ্গে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন বলেও খোলামেলা স্বীকার করে নেন ডায়না। সেই প্রথম অন্যের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্কে সিলমোহর পড়ে। এর পরেই চার্লসের সঙ্গে ডায়নার বহু চর্চিত বিবাহ ভেঙে যাওয়ার রাস্তা পরিষ্কার হয়। ওই সাক্ষাত্কার নেওয়ার জন্য বশির নানাভাবে চাপ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, টাকার বিনিময়ে প্রিন্সেসের ব্যক্তিগত কর্মী, পরিচারক, সহকারীদেরও নাকি হাত করেছিলেন ওই সাংবাদিক। অর্থের বিনিময়ে তাঁদের কাছ থেকে প্রচুর গোপন খবর আদায় করতেন বশির। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই ওই সাক্ষাত্কার দেওয়ার জন্য ডায়নার উপর চাপ দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগের সপক্ষে আর্থিক লেনদেনের নথিও প্রকাশ্যে এনেছিলেন প্রিন্সেসের ভাই স্পেনসার। এই পরিস্থিতিতে বশিরের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে বিবিসি কর্তৃপক্ষ। যদিও ওই সাংবাদিকের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বর্তমানে বিবিসির রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স বিভাগের এডিটর পদে রয়েছেন। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বশির। এরপর তাঁর হৃদযন্ত্রে অস্ত্রপচারও হয়েছে। এখন তিনি খুবই অসুস্থ।
প্রসঙ্গত, দর্শক সংখ্যার বিচারে রেকর্ড করেছিল ওই সাক্ষাত্কারটি। প্রায় ২ কোটি ২৮ লক্ষ মানুষ অনুষ্ঠানটি দেখেছিলেন। ওই বিস্ফোরক সাক্ষাত্কারের একবছর পর ১৯৯৬ সালে চার্লস ও ডায়নার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরের বছর প্যারিসে গাড়ি দুর্ঘটনায় সঙ্গী মিশরীয় ধনকুবের ডোডি ফায়াদ সহ প্রাণ হারান ডায়না। ২০০৫ সালে বিয়ে করেন চার্লস ও ক্যামিলা।