বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মারণ করোনা ভাইরাসে লাগাম টানতে গত জানুয়ারি মাস থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ লকডাউন ঘোষণা করেছে। সেইমতো স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। কিন্তু অর্থনীতির স্বার্থে দীর্ঘদিন লকডাউন রাখা যায় না। তাই বিভিন্ন দেশ বিধিনিষেধ জারি রেখে আস্তে আস্তে লকডাউন শিথিল করছে। খুলে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র। শুরু হচ্ছে উড়ান চলাচলও। সেই পথে শামিল হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গির্জা সহ যাবতীয় ধর্ম প্রতিষ্ঠানগুলিকে অত্যাবশ্যক ঘোষণা করেছেন। ফ্রান্সও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে খুলে দিয়েছে। প্যারিস প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সকল ধর্মগুরুরা স্বাগত জানিয়েছেন।
একইভাবে ভাটিকান শহরের জাদুঘরগুলিকে দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের প্রশাসন। আগামী ১ জুন থেকে তা খুলে যাচ্ছে। দর্শকদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেই তাঁদের করতে দেওয়া হবে। সঙ্গে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। গত ২০ এপ্রিল থেকে ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করছে জার্মানি। খুলে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্র। পরিবর্তে করোনা সংক্রমণ এড়াতে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যার জেরে দেশজুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন অব্যাহত। কিন্তু করোনা প্রতিরোধে জারি করা বিধিনিষেধের পক্ষে জোর সওয়াল করে চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল দেশবাসীকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম মেনে চলতে আর্জি জানিয়েছেন। করোনা মোকাবিলায় স্পেন সরকারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে শনিবার বিক্ষোভ দেখিয়েছে সেখানকার ডানপন্থী সংগঠন ভক্স পার্টি। মাদ্রিদ সহ দেশের বড় শহরগুলিতে গাড়ি ও বাইক রালি করে তারা।
এদিকে লকডাউনের নীতি লঙ্ঘন করে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ায় ব্রিটিশ প্রশাসনের শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। তাঁকে যাতে পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উপর চাপ বাড়ছে। অভিযুক্ত আমলার নাম ডমিনিক কামিংস। উনি জনসনের চিফ স্ট্রাটেজি অ্যাডভাইজার। সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, ঠিক একই সময়ে ডমিনিকের রিপোর্টও পজিটিভ এসেছিল। কিন্তু তাকে তোয়াক্কা না করে স্ত্রীকে নিয়ে লন্ডন থেকে ২৫০ কিমি দূরে ডারহামে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে, গোটা বিশ্বের মধ্যে করোনাতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউরোপ। সেখানকার অর্থনীতিকে বাঁচাতে এদিন একটি যৌথপ্রস্তাব দিয়েছে অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও সুইডেন। ঋণের উপর জোর দিয়ে আগামী দু’বছরের জন্য তারা এই তহবিল গড়ার দাবি জানিয়েছে। এর আগে ইউরোপের জন্য ৫৫ হাজার কোটি ডলারের একটি তহবিল করার প্রস্তাব দিয়েছিল ফ্রান্স ও জার্মানি।