বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে পরিচিত। বহুদিন ধরে ব্যবহৃত এই ওষুধের দামও বেশ কম। গত সপ্তাহে ওই ওষুধ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মোদি সরকার। নয়াদিল্লির সেই ঘোষণার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে ওই ওষুধ সরবরাহ করার অনুরোধ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বস্তুত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এই ওষুধ ব্যবহার করতে চায় আমেরিকা। কিন্তু তাঁর অনুরোধে কাজ না হওয়ায় বেজায় চটেছেন ট্রাম্প। এদিন তিনি বলেন, ওই ওষুধ রপ্তানি না করা যদি মোদির সিদ্ধান্ত হয়, তবে তিনি অবাকই হবেন। আমি রবিবার তাঁকে ফোন করে ওই ওষুধ রপ্তানির অনুরোধ করেছিলাম। তিনি যদি তা না করতে চান, তবে ঠিক আছে। কিন্তু অবশ্যই এর প্রতিশোধ থাকবে। বিস্মিত ট্রাম্প বলেন, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে আমেরিকার কাছ থেকে বহু সুবিধা ভারত নিয়ে থাকে। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কও খুব ভালো। তারপরেও নয়াদিল্লি কীভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে?
করোনা আক্রমণে দিশেহারা আমেরিকার কাছে এখন ঈশ্বরের আশীর্বাদ এই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। কারণ করোনা ঠেকাতে এই ওষুধের প্রাথমিক ফল ইতিবাচক। সেই কারণেই মার্কিন প্রশাসন প্রায় তিন কোটির একটি স্টক রাখতে চাইছে। কিন্তু নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তে মুশকিলে পড়ে ওয়াশিংটন। গতকালই মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, ওষুধ শিল্পে আমেরিকার অনেক দিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ভারত। অর্থাৎ ম্যালেরিয়ার ওষুধ রপ্তানিতে নয়াদিল্লিকে চাপ দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু মোদি সরকার সিদ্ধান্ত বদল না করায় এবার স্পষ্ট হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।