বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তবে এই আশা-আশঙ্কার মধ্যেই হুবেই প্রদেশ এবং উহান শহরে এখন যুদ্ধ জয়ের পরিবেশ। হুবেইয়ের সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের উপর থেকে মঙ্গলবারই লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। শুধু হুবেইয়ের রাজধানী উহানে লকডাউন চলবে। নতুন করে স্থানীয় কোনও ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯-এর উপস্থিতি ধরা পড়েনি। এর মধ্যে অবশ্য আগে আক্রান্ত চারজনের মৃত্যুর খবর এসেছে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৩ হাজার ২৮১ জন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন। ঘরোয়াভাবে কারও শরীরে করোনা ধাবা বসাতে না পারলেও ৪৭টি বিদেশ থেকে আমদানীকৃত ‘কেস’ ধরা পড়েছে। চীনের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, বর্তমানে যা রোগী, সবই বিদেশ থেকে আসা। ২৩ মার্চের মধ্যে বিদেশ থেকে করোনা নিয়ে ফিরেছেন ৪২৭ জন। তাঁদের মধ্যে ৩৮০ জন চীনা নাগরিক। বাকিরা অন্যদেশের।
গত ২৩ জানুয়ারি শেষ বাস চলেছিল উহান শহরের রাস্তায়। তারপর থেকে শুধুই লকডাউন। বুধবার ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে হ্যাংকোউ রেলওয়ে স্টেশনের টার্মিনাস থেকে প্রথম বাস ছাড়ল। উহানের গণপরিবহণ দপ্তর জানিয়েছে, মোট ১১৭টি বাস রুট এদিন থেকে শুরু হল। যা শহরের মোট বাস পরিষেবার মাত্র ৩০ শতাংশ। এখন আপাতত এমনই চলছে। ৮ এপ্রিলের পর থেকে পুরোমাত্রায় বাস চলাচল করবে। বাসে চালকের পাশাপাশি একজন করে সুরক্ষা পর্যবেক্ষক থাকবেন। যিনি প্রত্যেক যাত্রীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে তবেই যাত্রার অনুমতি দেবেন। হাতে সরকারি সিলমোহর দেওয়া কাগজ থাকলে তবেই শহর বা প্রদেশ ছাড়ার অনুমতি মিলবে। সিলমোহর অর্থাৎ, সেই ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস নেই।