বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
করোনার হানায় ইউরোপের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়েছে। স্পেনে বিগত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৯৭। পাশাপাশি এই ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রায় ১ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৭৪৪। সংক্রমণ এড়াতে সোমবার থেকে প্রতিবেশী পাঁচটি দেশের সঙ্গে সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করল জার্মানি। এই পাঁচটি দেশ হল ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ ও ডেনমার্ক। পাশাপাশি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পর্যটকদের জন্য স্পেনের সীমান্ত বন্ধ করছে পর্তুগাল। এক মাসের জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কোস্তা। অন্যদিকে, ফ্রান্সের অবস্থা খুবই উদ্বেগজনক ও দ্রুত অবনতি হচ্ছে বলে সোমবার মন্তব্য করলেন সেদেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রধান জেরম সালোমন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে ফ্রান্সে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ১৬৩। আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি। ইতালিতে গত রবিবার একদিনে ৩৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সমগ্র ইতালির অবস্থাই খারাপ। ১ হাজার ৮০০-এর বেশি মানুষ ইতালিতে মারা গিয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার পেরিয়েছে।
পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে আমেরিকাতেও। করোনা সংক্রমণের জেরে মার্কিন মুলুকে ইতিমধ্যেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবার থেকে নিউ ইয়র্কের সরকারি স্কুলগুলি ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হল। রেস্তরাঁগুলির পরিষেবার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হল। আমেরিকায় ইতিমধ্যেই ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি। ইউরোপ থেকে বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশ ইতিমধ্যেই বন্ধ করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এই অবস্থায় মার্কিন বিমান সংস্থাগুলি উড়ানের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিল। আমেরিকার পাশাপাশি সংক্রমণ বাড়ছে কানাডাতেও। দেশের ১০টি প্রদেশেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ল। কানাডায় এখনও পর্যন্ত ৩১৩ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে।
করোনা সংক্রমণের জেরে সোমবার জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করল দক্ষিণ আফ্রিকা। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬১। সোমালিয়া, তানজানিয়ায় প্রথম করোনা ধরা পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫০। পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে ফিলিপিন্সেও। সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২। আক্রান্ত সব মিলিয়ে ১৪০ জন। কোয়ারেন্টাইন চালু হওয়ায় রাজধানী ম্যানিলার বাইরে গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা গিয়েছে। বাহরিনে সোমবারই প্রথম মৃত্যুর খবর মিলেছে। করোনা মোকাবিলায় শ্রীলঙ্কায় আবার বিশেষ বৌদ্ধ প্রার্থনা শিবিরের সূচনা হচ্ছে। ১৮ মার্চ থেকে এক সপ্তাহের জন্য এই বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। ক্যান্ডির ‘টেম্পল অব দ্য টুথ’-এ এক সপ্তাহ ধরে এই বিশেষ প্রার্থনা হবে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে পাকিস্তানেও।