বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তথ্যের স্বাধীনতা আইনে প্রাপ্ত নথি বলছে, গত পাঁচ বছরে অন্তত ৮৫ শতাংশ অনুরোধ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। ২০০৯ সাল থেকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলিকে এমন সাতটি অনুরোধ জানানো হয়েছে। যার মধ্যে মাত্র একটি ক্ষেত্রে অনুরোধ মানা হয়নি। গত বছর ৯টি ভেদ্দা করোটি শ্রীলঙ্কায় ফিরিয়ে দিয়েছে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সেখানে মাওরি উপজাতির কঙ্কালগুলি নিউজিল্যান্ডে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত বছর নভেম্বর মাসে ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ও অস্ট্রেলিয়ার আদিম জনগোষ্ঠীগুলিকে ৪৩টি নিদর্শন ফিরিয়ে দিয়েছে। ২০১১ সালে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ও জন হারউড নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দার দেহাবশেষ অনুরোধক্রমে ফিরিয়েছে। একমাত্র কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ই ২০১৭ সালে ট্রিনিটি কলেজে রাখা একটি আদিম বল্লম ফেরতের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক এবং ‘আনকমফর্টেবল অক্সফোর্ড প্রজেক্টে’র প্রতিষ্ঠাতা পলা লারসন জানিয়েছেন, জাতীয় জাদুঘরের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রহশালাগুলির স্বদেশে প্রেরণের উদার নীতি এব্যাপারে পথ দেখাচ্ছে। ঐতিহাসিকভাবে দেখলে এই পদ্ধতি অনেকটাই ধীরগতির। কিন্তু মিউজিয়ামের তত্ত্বাবধায়ক এবং শিক্ষাবিদরা এখন এই নিয়ে অনেক বেশি সক্রিয়। অক্সফোর্ডের ‘এথিকস অ্যান্ড এম্পায়ার প্রজেক্টে’র নেতা তথা অধ্যাপক নাইজেল বিগার জানিয়েছেন, নির্দশনগুলিকে তাদের সঠিক মালিকের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আপত্তি জানানো উচিত নয়। কিন্তু তাদের এভাবে আত্মসমর্পণ ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদে জোর দেওয়া সহ বেশ কিছু কঠিন প্রশ্ন তুলে দেবে। তিনি আরও বলেন, ‘আজকের দাবিদাররা কি সত্যিই বিগতদিনের ওই নির্যাতিতদের উত্তরাধিকারী? বর্তমানের গ্রিকদের সঙ্গে প্রাচীন আথেনিয়ানদের নির্দিষ্টভাবে কী মিল রয়েছে, যাতে তারা এলগিন মার্বেলের সঠিক মালিক হতে পারেন? এই প্রশ্নগুলির সন্তোষজনক উত্তর মিললে তবেই নিদর্শনগুলির পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।’
ঔপনিবেশিক আমলে লুট করা হয়েছে, এমন নিদর্শনগুলিকে ফেরানোর ব্যাপারে মিউজিয়াম ও গ্যালারিগুলিকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে আর্টস কাউন্সিল ইংল্যান্ড। ইতিমধ্যে টাওয়ার অব লন্ডন মিউজিয়াম (যেখানে কোহিনুর রয়েছে), ব্রিটিশ মিউজিয়াম এবং ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট (মহারাজা রণজিৎ সিংয়ের সিংহাসন) থেকেও বিভিন্ন নিদর্শন ফেরানোর দাবি উঠেছে। কিন্তু পার্লামেন্টের আইন অনুযায়ী তা নিষিদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অবশ্য সেই আইনের আওতায় পড়ে না।