বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কেনিয়া সেনার মুখপাত্র পল নিজুগুনা বলেন, জঙ্গিরা মান্ডা বিমানঘাঁটির নিরাপত্তাবলয় ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। তখনই তাদের প্রতিরোধ করা হয়। জঙ্গিদের গুলির পাল্টা জবাব দেওয়া হয়। পরে চারজন জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়। তিনি বলেন, জঙ্গিরা ভিতরে ঢুকতে না পেরে কয়েকটি তেলের ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে। এছাড়াও ঘাঁটির অন্যান্য অংশের ক্ষতি হয়েছে। কেনিয়া পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলায় দু’টি যুদ্ধবিমান, দু’টি মার্কিন সেনার কপ্টার এবং প্রচুর গাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে জঙ্গিরা।
এদিনের ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়ে আল-শাবাব জানিয়েছে, ‘তাদের যোদ্ধারা সাফল্যের সঙ্গে সেনাঘাঁটিতে ঢুকে হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে। ওই সেনাঘাঁটির একটি অংশ তারা দখলও করেছে।’ পাশাপাশি আমেরিকা ও কেনিয়ার অনেক সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে আল-শাবাব। এদিকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই সেনাঘাঁটিতে হামলা হতেই নাইরোবি থেকে বাড়তি সেনা লামুতে পাঠানো হয়। জঙ্গিদের খোঁজে জোর অভিযান শুরু দিয়েছেন সেনারা। সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে সামরিক ঘাঁটিটি। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সকাল থেকেই ওই এলাকা পুরোপুরি কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। সেইসঙ্গে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়।
উল্লেখ্য, গত বছর সোমালিয়ায় একটি মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল আল-শাবাব। সোমালিয়া থেকে উৎখাতের পর থেকেই সশস্ত্র হামলার সংখ্যা বাড়িয়েছে এই জঙ্গি সংগঠন। ওই উৎখাত অভিযান চলাকালীন কেনিয়াও সেনা পাঠিয়েছিল। তারপর থেকে কেনিয়াতেও একাধিকবার হামলা চালায় আল-শাবাব। গত বছরের জানুয়ারি মাসে কেনিয়ার একটি শপিংমলে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল তারা। ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ২১ জনের।