বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এরই মধ্যে ইরাকে ইরান-ঘনিষ্ঠ হাশেদ বাহিনীর একটি কনভয়ে ফের মার্কিন ড্রোন হামলা হয়। তারপরই ইরানের সেনা মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রামাজান শরিফ হুঁশিয়ারি দেন, ‘ইজরায়েল ও আমেরিকার এই ক্ষণিকের উল্লাস অচিরেই শোকে পরিণত হবে। প্রয়োজনে তেহরান তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধও করতে পারে।’ সূত্রে খবর, দেশের পশ্চিম আকাশসীমায় যুদ্ধবিমানের মহড়া চলছে। একাধিক যুদ্ধবিমানকে কৌশলগতভাবে মোতায়েন করা হয়েছে। ইরানের এক সেনা কমান্ডার আবুহামজে জানান, তেহরানের হামলা চালানোর পরিধির মধ্যে আমেরিকার অন্তত ৩৫টি সেনাঘাঁটি রয়েছে। খুব শীঘ্রই প্রত্যাঘাত হবে। পিছিয়ে নেই আমেরিকাও। ইরানের প্রত্যাঘাতের শঙ্কায় পশ্চিম এশিয়ায় বাড়তি ৩ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে ওয়াশিংটন। গত বছরই পশ্চিম এশিয়ায় প্রায় ১৪ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল আমেরিকা। সোলেমানির মৃত্যুর পর ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে ইতিমধ্যেই পার্লামেন্টে চাপ বাড়াতে শুরু করেছেন সেদেশের ইরানপন্থীরা। এই ইস্যুতে ভোটাভুটির জন্য আজ, রবিবার জরুরি অধিবেশন বসছে ইরাক পার্লামেন্টে। আপাতত মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে ইরাক ছাড়ার আর্জি জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। একই আর্জি জানানো হয়েছে বাহরিন, কুয়েত এবং নাইজেরিয়ার মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশেও। পেন্টাগনের এক কর্তা জানান, সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেডকে সতর্ক করা হয়েছে। যে কোনও সময়ে লেবানন যাওয়ার জন্য তাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। লেবাননের মার্কিন দূতাবাসে হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই এই পদক্ষেপ।
এদিকে, সোলেমানির মৃত্যুর পরপরই আমেরিকা পিছু হঠে ‘কূটনৈতিক চাল’ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে দাবি করেছেন রেভলিউশনারি গার্ডের ডেপুটি কমান্ডার আলি ফাদাভি। শনিবার তিনি বলেন, ‘ওরা বলছিল, যদি প্রতিশোধ নিতেই হয়, তাহলে আমরা যা করেছি, সেই অনুপাতেই প্রতিশোধ নিতে হবে।’ এরপরই তিনি শ্লেষের সুরে জানান, ‘ইরানের প্রত্যাঘাত কেমন হবে তা স্থির করার মতো জায়গায় নেই আমেরিকা।’ সোলেমানির শেষযাত্রায়। ছবি: এএফপি