বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পৃথিবীর প্রায় ৪৪টি দেশ ঘুরেছি। কিন্তু এরকম প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে কখনও পড়িনি। যেভাবে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে ঘরের বাইরে পা রাখা দুষ্কর। পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় ভারতীয় হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তাঁরাও সাহায্যের নিশ্চয়তা দিতে পারেননি। জানি না, কতক্ষণ এখানে আটকে থাকবে হবে।
হোটেলে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা হল। তাঁরা জানিয়েছেন, জাপানে বছরে ২০টির বেশি টাইফুন আছড়ে পড়ে। কিন্তু, রাজধানীতে এর বিশেষ প্রভাব পড়ে না। বিগত কয়েক সপ্তাহ আগে ঘূর্ণিঝড় ফ্যাক্সাই আঘাত এনেছিল। কিন্তু, এবারের ভয়াবহতা অনেকটাই বেশি। টিভি, ইন্টারনেট খুললেই শুধু সামুদ্রিক ঝড় নিয়ে খবর, সতর্কবার্তা। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ টোকিওর দক্ষিণ-পশ্চিমে ইজু পেনিনসুলাতে ঘূর্ণিঝড় হাগিবিস আছড়ে পড়েছে বলে খবর পেলাম। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এর গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১৪৪ কিলোমিটারের আশেপাশে রয়েছে। পাশাপাশি, রবিবার দুপুরের মধ্যে প্রায় আধ মিটার বৃষ্টির পূর্বভাস দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, টোকিও ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খবর পেলাম, নিপ্পন ও জাপান এয়ারওয়েজ টোকিও, ওসাকা ও নাগোয়া বিমানবন্দর থেকে সমস্ত বিমান পরিষেবা স্থগিত রেখেছে। পাশাপাশি, টোকিও, ওসাকা, নাগোয়া মধ্যে বুলেট ট্রেন পরিষেবাও বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, এদিন উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের ধাক্কায় একটি গাড়ি উল্টে একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বন্যা ও ভূমিধসে ৩০ জন আহত হয়েছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে রাগবি বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচ, জাপানি গ্রাঁ প্রি বাতিল করা হয়েছে।