বিশেষ সংবাদদাতা, শ্রীনগর: উপত্যকায় দু’টি পৃথক এনকাউন্টারে নিকেশ তিন জঙ্গি। তাদের মধ্যে একজন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তোইবার শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার। গুলির লড়াইয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্যও জখম হয়েছেন। জানা গিয়েছে, মধ্য কাশ্মীরের শ্রীনগর জেলার খান্যর এলাকাতে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। তার নাম উসমান। উপত্যকায় পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তোইবার সবচেয়ে সিনিয়র কমান্ডার ছিল সে। দীর্ঘসময় ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে সক্রিয় এই জঙ্গির নাম জড়িয়েছে একাধিক নাশকতার ঘটনাতে। ইনসপেক্টর মাসরুর ওয়ানি হত্যাতেও যুক্ত ছিল এই লস্কর কমান্ডার। তার মৃত্যুতে উপত্যকায় সংগঠন জোর ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, লস্করের ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্ট ফ্রন্ট (টিআরএফ)-এর কমান্ডার সাজাদ গুলের ডান হাত ছিল উসমান। প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই এলাকায় একাধিক সন্ত্রাসবাদীর গতিবিধির খবর মিলতেই এলাকা ঘিরে রেখে তল্লাশি শুরু করে বাহিনী। কোণঠাসা হয়ে যৌথবাহিনীর উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুলির লড়াই চলছে। এনকাউন্টারে সিআরপিএফ ও পুলিসের দু’জন করে সদস্য জখম হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত সেনার ৯২ বেস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চারজনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। জানা গিয়েছে, যে বাড়িতে জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছিল, গুলির লড়াইয়ে সেটিতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ মিলেছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এর আগে ২০২০ সালে ১৯ মে শেষবার শ্রীনগর জেলায় গুলির লড়াই হয়েছিল। নাওয়াকাদাল এলাকায় সেদিন দুই হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিকে নিকেশ করে বাহিনী। সেই ঘটনার প্রায় সাড়ে চারবছর পর ফের এনকাউন্টারে কেঁপে উঠল শ্রীনগর জেলার কোনও এলাকা।
অন্যদিকে, শনিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় সাঙ্গুস লারনোর গভীর জঙ্গলের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। সেখানে আরও একজন সন্ত্রাসবাদী রয়েছে বলে খবর। এক শীর্ষ পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই এলাকায় বেশ কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর মেলে। তার ভিত্তিতে তল্লাশিতে নামে বাহিনী। তখনই গুলির লড়াই শুরু হয়।