শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
এর আগে সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের পরিমাণ সবচেয়ে কম ছিল ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে। ওই বছরের ১৩.০৫ লক্ষ কোটি টাকার সঞ্চয় পরের অর্থবর্ষেই বেড়ে হয়েছিল ১৪.৯২ লক্ষ কোটি টাকা। করোনা পর্বের আগে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তা আরও বেড়ে হয়েছিল ১৫.৪৯ লক্ষ কোটি টাকায়। কিন্তু করোনা পর্বের পরই হুহু করে কমেছে সঞ্চয়ের পরিমাণ। ২০২৩ অর্থবর্ষে গার্হস্থ্য আর্থিক সঞ্চয়ের পরিমাণ কমে হয়েছে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির ৫.৩ শতাংশ। যা গত পাঁচ দশকে সর্বনিম্ন। অথচ করোনার পর্বকে বাদ দিলে গত ১০ বছরে এর পরিমাণ জিডিপির ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। গত বছরের সেপ্টেম্বরেই অবশ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য মিলেছিল।
একদিকে যেমন সঞ্চয় কমেছে, তেমনি বেড়েছে ঋণের বোঝা। ঋণ বাদ দিলে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে মোট সঞ্চয়ের পরিমাণ ২৯.৭ লক্ষ কোটি টাকা। এই অর্থবর্ষে ঋণের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১৫.৬ লক্ষ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবর্ষে মোট সঞ্চয়ের পরিমাণ ছিল ২৬.১ লক্ষ কোটি টাকা। ঋণের পরিমাণ ছিল ৯ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ সঞ্চয়ের থেকে ঋণের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সোজা কথায়, পারিবারিক ধার দেনার বহর যেখানে ৭৩ শতাংশ বেড়েছে, সেখানে সঞ্চয় বেড়েছে মাত্র ১৪ শতাংশ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেয়ার বাজারে লগ্নির পরিমাণও গত তিন বছরে প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নির পরিমাণ ছিল ৬৪ হাজার ৮৪ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ১.৭৯ লক্ষ কোটি টাকা। শেয়ার ও ডিবেঞ্চারেও পারিবারিক লগ্নি গত তিন বছরে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এর পরিমাণ ছিল ১.০৭ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা হয়েছে ২.০৬ লক্ষ কোটি টাকা। বিরোধীরা বলেছে, জিনিসপত্রের দামে লাগাম টানতে পারেনি সরকার। থমকে গিয়েছে রোজগার। বাড়ছে বেকারত্বও। এই অবস্থায় ধারদেনা করেই সংসার চালাতে হচ্ছে। সবমিলিয়ে মোদির আমলে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার।