শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
তিন দফা ভোট শেষ। তারপরও খুব বেশি আশার খবর মেলেনি পদ্মশিবিরের কাছে। ৪০০ আসন সত্যিই অনেকটা দূর বলে মনে হচ্ছে বিজেপি নেতা কর্মীদের। এই পরিস্থিতিতে কর্ণাটকের পর দক্ষিণ ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাখির চোখ অন্ধ্রপ্রদেশ। দিন তিনেক আগেই এ রাজ্যে এসে জগন ও তাঁর দলকে নিশানা করেছিলেন অমিত শাহ। এবার অন্ধ্র-ভূমে পা রাখতে চলেছেন স্বয়ং মোদি। আর তার জেরেই শহরজুড়ে সাজ সাজ রব। স্থানীয় ট্রাফিক পুলিসের এক আধিকারিক জানালেন, আই জি এম সি স্টেডিয়াম থেকে শুরু হবে রোড শো। শেষ হবে বেঞ্জ সার্কেলে। সন্ধ্যা ছ’টা থেকে আটটা মাছিও গলার জো নেই। বুঝতেই তো পারছেন! ব্যারিকেড করা হবে বলেই কিছু দোকানদারদের এই দুটো দিন বসতে না করা হয়েছে।
জানা গেল, গতকালই এলাকা পরিদর্শন করেছেন পুলিস কমিশনার পিএইচডি রামকৃষ্ণ। মোদির রোড শো র সময় আর টি সি ওয়াই জংশন থেকে বেঞ্জ সার্কেল পর্যন্ত সমস্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে। ঘুরিয়ে দেওয়া হবে একাধিক রাস্তার রুট। রোড শো নিয়ে আগ্রহ বিজেপি, টিডিপি ও জনসেনা জোটের আগ্রহ তুঙ্গে। অটোতে এলাকায় ঘুরে ঘুরে চলছে জোর প্রচার। যদিও তাতে লাভ কতটা হবে, সেব্যাপারে সংশয়ে নিচুতলার কর্মীরা। বিকেলে ধুলোর ঝড় থেকে বাঁচতে একটা দোকানে ঢুকে আলাপ হল জনসেনা সদস্য রাজুর সঙ্গে। অভিনেতা পবন কল্যাণের অন্ধ ভক্ত জানালেন, নিচুতলায় জোটটাই ঠিকমতো হয়নি। মোদি-অমিত শাহ এখানে এসে চারটি গরম গরম কথা বলে চলে যাবেন। তাতে লাভের লাভ কী হবে, কে জানে! কুলারে জল ঢালতে ঢালতে দোকানদার বললেন, ‘যতই প্রচার হোক, জিতবে জগনই।’ মনে পড়ে গেল দিলওয়ারের মুখটা। যাওয়ার সময় গজ গজ করতে করতে বলছিলেন, ‘ভোট আগে না পেট! ব্যবসা নষ্ট করে ভোট চাইছে তো! ঠিক জায়গায় জবাব দেব।’