আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
কিছুদিন আগে রাজকোটে একটি নির্বাচনী সভায় রুপালা বলেন, ‘ইংরেজ জমানায় নিজেদের স্বার্থে আপস করত রাজপুত ও ক্ষত্রিয় শাসকরা। ব্রিটিশদের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও বৈবাহিক সম্পর্কও রেখে চলত।’ এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই উভয় সম্প্রদায়ই ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়। সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ অঞ্চলে ক্ষত্রিয় সমাজের লোকজন প্রতিবাদ বিক্ষোভে শামিল হয়। গুজরাতের গণ্ডি ছাড়িয়ে তার প্রভাব পড়ে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতেও। আন্দোলনকারীরা রুপালার প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি জানায়। কিন্তু সেই দাবি মানেনি বিজেপি। বরং রুপালা সহ বিভিন্ন নেতাকে দিয়ে এই ইস্যুতে একাধিকবার ক্ষমা চাইয়ে ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা চলে। তাতেই ক্ষত্রিয়-রাজপুতদের অসন্তোষের তির ঘুরে গিয়েছে বিজেপির দিকে। ‘অস্মিতা মহাসম্মেলনে’ রাজপুত সঙ্কলন সমিতির মুখপাত্র করনসিং চাভদা হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, ‘আমরা কোনওভাবেই বিজেপিকে জিততে দেব না। আপনারা আমাদের মহিলাদের অসম্মান করেছেন। আমাদের মর্যাদায় আঘাত দিলে কাউকে রেয়াত করার প্রশ্নই নেই।’ আগামী ৭ মে সকাল সকাল নিজেদের বুথে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার শপথও নেওয়া হয়েছে সেই সভায়। সুরাত, ভারুচ, ভালসাদ, নভসারির মতো দক্ষিণ গুজরাতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার ক্ষত্রিয়-রাজপুত সেখানে ভিড় জমিয়েছিলেন।
গুজরাত বিজেপির সভাপতি তথা নভসারি আসনের প্রার্থী সি আর পাতিল অবশ্য ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা কম করেননি। এমনকী ক্ষত্রিয় নেতাদের সমর্থনের দাবি করে আন্দোলন রুখতেও তৎপর হয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে চাভদার কটাক্ষ, ‘রুপালার মন্তব্যের কারণেই এককাট্টা হয়েছে গোটা সমাজ। আমাদের অস্ত্র তলোয়ার নয়, ভোট।’ শুধু তা-ই নয়, ক্ষত্রিয়-রাজপুতদের প্রতি বিজেপি সরকারের বঞ্চনা ও উদাসীনতার অভিযোগও সামনে ইতিমধ্যে চলে এসেছে। গুজরাত রাজপুত সমাজ ইনস্টিটিউশনসের মহিলা সভাপতি তৃপ্তিবা রাওয়াল বলেছেন, ‘এই লড়াই গণতন্ত্র রক্ষার। সেইসঙ্গে আমাদের মর্যাদারক্ষারও লড়াই। আর ভোটাধিকার ব্যবহার করেই লড়াই চালাব।’