রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
সাধারণ রেলযাত্রীদের একটি বড় অংশের অভিযোগ, দূরপাল্লার মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনের স্লিপার কোচগুলি কার্যত নরক গুলজারে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে ট্রেনের সংরক্ষিত স্লিপার ক্লাস এবং জেনারেল কোচের মধ্যে বিশেষ কোনও ফারাক খুঁজেই পাচ্ছেন না যাত্রীদের একটি অংশ। অধিকাংশ স্লিপার কোচেই তিল ধারণের জায়গা থাকছে না। অভিযোগ, এমনকী বিনা টিকিটের যাত্রীরাও অবলীলায় উঠে পড়ছেন স্লিপার কোচগুলিতে। ট্রেনের মেঝেতে শুয়েবসেই চলছে সফর। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা মিলছে না টিটিই’রও। সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে চরম নাজেহাল হতে হচ্ছে সংরক্ষিত কোচের টিকিট থাকা বৈধ রেলযাত্রীদেরই। এহেন পরের পর অভিযোগ এলেও এব্যাপারে কোনও স্থায়ী সুরাহা করতে চূড়ান্ত ব্যর্থ রেলমন্ত্রক। নিরুপায় হয়ে হয়রান রেলযাত্রীদের একটি বড় অংশ প্রশ্ন করছেন, সব যাত্রীকেই কি তাহলে বেশি ভাড়া দিয়ে এসি কোচের টিকিট কেটে ট্রেনে উঠতে হবে? নিত্যদিন তাঁদের এমন চরম ভোগান্তির দায় কে নেবে? সবমিলিয়ে চরমে উঠেছে রেলযাত্রীদের ক্ষোভ।
যদিও রেলমন্ত্রকের সাফাই, ‘সবসময়ই ট্রেনে কড়া নজরদারি চালানো হয়। এরপরেও কোনও ঘটনা ঘটলে যাত্রীরা রেলের আপৎকালীন নম্বরে ফোন করতে পারেন। কিংবা পিএনআর নম্বর সমেত অভিযোগ জানাতে পারেন।’ তাতে কাজ হয় কি? প্রশ্ন থাকছেই। সম্প্রতি আনন্দবিহার টার্মিনাল-গাজিপুর সিটি সুহেলদেব সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের স্লিপার ক্লাসের ছবি সামনে আসতে কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে রেলমন্ত্রক। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে রেল বোর্ড। তবে পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে স্লিপার কোচ উৎপাদনের টার্গেট প্রায় ৮৬ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে রেলমন্ত্রক। ধাপে ধাপে ট্রেনের স্লিপার কোচ তুলে দেওয়ার পথেই কি তাহলে হাঁটছে রেল?