বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
নৈনিতালের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক সরিতা। এবারও সেই কেন্দ্র থেকে হাত প্রতীকে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টিকিট পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন কংগ্রেস নেত্রী। মনে মনে খানিক অসন্তুষ্টও ছিলেন। সেটাকেই কাজে লাগিয়ে বিজেপি তাঁকে দলে নিয়ে আসে বলে রাজনৈতিক শিবিরের মত। তবে, সরিতা আদৌ টিকিট পাবেন কি না, কিংবা পেলেও পছন্দের নৈনিতাল জুটবে কি না, সে ব্যাপারে অবশ্য মুখ খোলেনি উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন দেরাদুনে বিজেপির সদর দপ্তরে ঢাকঢোল পিটিয়ে সরিতার হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন ধামি। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি মদন কৌশিক সহ একাধিক নেতা-নেত্রী।
ভোটমুখী উত্তরাখণ্ডে একাধিক কারণে শাসকদল বেশ বেকায়দায়। এমনিতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ঘরে অশান্তি লেগেই ছিল। তাকে সামলাতে নজিরবিহীনভাবে একটি রাজ্যে চারমাসে চারবার মুখ্যমন্ত্রী বদলাতে হয়েছে শাহ-নাড্ডাদের। শেষ পর্যন্ত ধামিকে বাজি ধরে দল। তাঁকে সামনে রেখেই এবারে ভোটের রণকৌশল সাজিয়েছে বিজেপি। কিন্তু দলের ভিতরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ঠেকাতে পূর্বের দিশাহারা অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। বর্তমানে টিকিট বিলিতে দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে একাধিক বিধায়কের গোঁসা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রাওয়াত। ধামির সঙ্গেও তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না দীর্ঘদিন ধরেই। কখনও তিনি বলতেন, ‘সরকারে থেকেও নিজের এলাকার উন্নয়ন করতে পারছি না। মন্ত্রিসভায় থেকে হাঁপিয়ে উঠছি।’ সেই রাওয়াতকে এখন ‘বলি’ করে বিজেপি নেতৃত্ব অন্যান্য ক্ষুব্ধ বিধায়কদের বার্তা দিল বলে মনে করছেন রাজনীতির লোকেরা।
যদিও রাওয়াতকে সরানোর নেপথ্য কারণ হিসেবে ধামি বলেছেন, ‘রাওয়াত বারবার দলবিরোধী কাজ করে যাচ্ছিলেন। তাতে দলের অন্দরে সমস্যা বাড়ছিল। তার উপর ভোট ঘোষণা হতেই পরিবারের সদস্যরা যাতে টিকিট পান, তার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। বিশেষ করে নিজের বউমা অনুকৃতিকে ল্যান্সডাউন কেন্দ্রে দাঁড় করাতে দলের উপর চাপ বাড়াচ্ছিলেন রাওয়াত। যা দলীয় সিদ্ধান্তের পরিপন্থী। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ রাওয়াতকে বরখাস্তের পরই স্বভাবতই তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনার পারদ চড়ছে। কংগ্রেসের পতাকাতলেই রাজনৈতিক জীবন শুরু তাঁর। অবিভক্ত উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে কম বয়সে মন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড রয়েছে রাওয়াতের ঝুলিতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, উত্তরাখণ্ডের রাজনীতিতে রাওয়াত নতুন ইনিংস শুরু করতে পারেন ঘরওয়াপসি করে। অর্থাৎ, তাঁর কংগ্রেসে যোগদান স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।