বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সঞ্চয়ের উপর সাম্প্রতিককালে একটি যৌথ সমীক্ষা চালায় জীবন বিমা সংস্থা এজিএস ফেডারাল লাইফ এবং ইউগভ ইন্ডিয়া। দেশের ১১টি শহরে এই সমীক্ষা চালানো হয়। তাতে অংশ নেন ১,৩৩৩ জন অভিভাবক এবং তাঁদের সন্তান, যাদের বয়স ১০ বছরের নীচে। সেই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, রোজগারের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা সঞ্চয় করছেন সাধারণ মানুষ। সেই টাকার একটা বড় অংশ সন্তানের জন্য রাখা থাকছে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৬০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, সন্তানের বয়স তিনবছর হওয়ার আগেই তাঁরা সঞ্চয়ের উপর জোর দিচ্ছেন। অন্তত দুই তৃতীয়াংশের বক্তব্য, তাঁরা যে টাকা জমাচ্ছেন, তা তাঁদের সন্তানদের জন্য যথেষ্ট। অভিভাবকদের দাবি, সঞ্চয়ের সিংহভাগই রাখা থাকছে সুরক্ষিত খাতে। সেখানেই সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে জীবন বিমা। তারপর রয়েছে ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট। জীবন বিমার ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ মানি ব্যাক পলিসি। তারপর রয়েছে ইউনিট লিঙ্কড পলিসিগুলি।
এ তো গেল টাকাপয়সা বা সঞ্চয়ের কথা। সন্তানের জন্য কোন কেরিয়ার পছন্দ বাবা-মায়ের? সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, সামাজিক ও আর্থিকভাবে তাঁদের সন্তান তাঁদের থেকে ভালো থাকুক, চান অভিভাবকরা। কিন্তু কেরিয়ারের ব্যাপারে তাঁরা তাঁদের পছন্দ-অপছন্দ সন্তানদের উপর চাপিয়ে দিতে চান না। তবে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার বা শিক্ষক হওয়ার মতো প্রচলিত পেশায় যেতেই বেশি আগ্রহী সন্তানরা, বলছে সমীক্ষা। করোনার কারণে পড়ুয়ারা, বিশেষত খুদেরা এখনও গৃহবন্দি। তাদের নজরও এখন অনলাইন ক্লাসে। মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে তারা হরেক বিষয়ে পোক্ত হয়ে যাচ্ছে অল্প বয়সেই। শিশুদের এই মানসিকতাকে সদর্থকভাবেই দেখতে চান অভিভাবকরা। বাবা-মায়ের বক্তব্য, সন্তানরা যেন এই জ্ঞান বা অভিজ্ঞতাগুলিকে পেশার তাগিদে ভবিষ্যতে কাজে লাগায়, এমনটাই জানাচ্ছে সমীক্ষা।