বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
নর্দার্ন রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপক কুমার জানিয়েছেন, ‘সোমবার বেলা ২টো পর্যন্ত রেল রোকো কর্মসূচির জেরে ১৫০টি স্থানে অন্তত ৬০টি দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলের উপর প্রভাব পড়েছে। স্বল্প দূরত্বের ২৫টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। নিউদিল্লি-কালকা শতাব্দী এক্সপ্রেসকে আম্বালায় শর্ট টার্মিনেট করা হয়েছে।’ এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত রেল রোকো অভিযানে শামিল হন কৃষকরা। কর্মসূচি শেষে সংযুক্ত কিষান মোর্চার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘২৯০টিরও বেশি ট্রেন চলাচলে প্রভাব পড়েছে কৃষকদের আন্দোলনের জেরে। ৪০টিরও বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।’ মোর্চার অভিযোগ, ‘শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে শামিল হলেও উত্তরপ্রদেশে অনেক কৃষক নেতাকে আটক করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, হায়দরাবাদের একাধিক জায়গায় আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।’
সংযুক্ত কিষান মোর্চার দাবি, ‘পুলিসি বাধা সত্ত্বেও পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ওড়িশা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা এবং পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ স্তব্ধ করে দিয়েছেন কৃষকরা।’ আন্দোলনকারীদের দাবি, ‘লখিমপুর কাণ্ডের নৈতিক দায় নিক মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করে কেন্দ্র অন্তত এটুকু নিশ্চিত করুক যে, লখিমপুর কাণ্ডের তদন্তকে কোনওভাবেই প্রভাবিত করা হচ্ছে না।’ একইসঙ্গে এদিন মোদি সরকারকে ফের হুঁশিয়ারি দিয়ে সংযুক্ত কিষান মোর্চা জানিয়েছে, ‘যদি দাবি মানা না হয়, তাহলে আরও শক্তিশালী আন্দোলনের পথেই হাঁটবেন কৃষকরা।’ সারা ভারত কিষান সভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। সোমবারের রেল রোকো কেন্দ্রের কাছে একটি সতর্কবার্তা। তারা যেন তা মাথায় রাখে।’ ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের সর্বভারতীয় শীর্ষ নেতা রাকেশ টিকায়েতের অভিযোগ, ‘কেন্দ্র শুধুমাত্র হুমকি-হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার কোনওরকম উদ্যোগ নিচ্ছে না।’ উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য্যের কটাক্ষ, ‘এটি কোনও কৃষক আন্দোলন হচ্ছে না। নির্বাচনী আন্দোলন হচ্ছে।’ যদিও এই পরিপ্রেক্ষিতেই কৃষকদের সঙ্গে মধ্যস্থতা চালানোর বার্তা দিয়েছেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। কার্যত আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েই তিনি বলেছেন, ‘কৃষকদের কথায় কর্ণপাত না করলে বিজেপির পক্ষে ক্ষমতায় ফেরা মুশকিল। অজয় মিশ্র টেনিরও আর মন্ত্রিত্বে থাকা উচিত নয়।’