বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বুধবারই আগরতলায় পদযাত্রা কর্মসূচি ছিল অভিষেকের। এর আগে দু’বার দিনক্ষণ স্থির করেও পুলিসের আপত্তিতে পিছু হটেছে তৃণমূল। এবারও তার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জোড়াফুল নেতৃত্ব। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশিকাটি তুলে ধরা হয়। আশ্চর্য বিষয় হল, পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক রাজীব দত্ত সেটিতে স্বাক্ষর করেছেন ঠিক একদিন আগে অর্থাৎ, সোমবার। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘পূর্ব ও পশ্চিম আগরতলা থানার অন্তর্ভুক্ত এলাকায় কোনও রাজনৈতিক দল মিটিং, শোভাযাত্রা, জনসমাগম করতে পারবে না। ২১ সেপ্টেম্বর ভোর ছ’টা থেকে আগামী ৪ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।’ শুনানি শেষে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখে ত্রিপুরা হাইকোর্ট।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থশঙ্কর দে জানান, ‘সামনেই শারদ উৎসব। তাই রাজনৈতিক দলগুলিকে জনসমাগম করতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে আদালত হস্তক্ষেপ করেনি।’ তৃণমূলের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দেবের অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পেয়ে রাতের অন্ধকারে নির্দেশিকা জারি করেছে বিপ্লব দেবের সরকার। ওই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের বিষয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।’অভিষেকের পদযাত্রার ঠিক দু’দিন আগে কেন এই নিষেধাজ্ঞা? বিজেপি সরকারের দিকে এই প্রশ্নই ছুড়ে দিয়েছে বিরোধী দল তৃণমূল ও সিপিএম। তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেবের অভিযোগ, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে হামলা হয়েছে। কিন্তু ত্রিপুরা পুলিস আজ পর্যন্ত একজনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অভিষেকের নেতৃত্বে দল যখন শক্তিশালী হচ্ছে, তখন তাকে নানাভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিপ্লব দেবের প্রশাসন। এদিনের ঘটনা তারই প্রমাণ।’ সিপিএম নেতা রাখাল মজুমদারও বিপ্লব দেব প্রশাসনের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন। যদিও বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেউ যদি অস্থিরতা তৈরি করে, তা বরদাস্ত করা হবে না।’