বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উদয়পুরের মেওয়ার অয়েল অ্যান্ড জেনারেল মিলস লিমিটেড কোম্পানিতে চাকরি করতেন জর্জ ভালাই। ১৯৭০ সালের শেষ থেকে ন’য়ের দশকের গোড়া পর্যন্ত সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। সংস্থার কীটনাশক ও পেস্টিসাইড সংক্রান্ত পণ্য কেরল ও তামিলনাড়ুতে বিক্রির দায়িত্ব ছিল জর্জ ভালাইয়ের উপর। তাঁর ভাই ছিলেন ব্যবসায়ী। ১৯৭৮ সালে ভালাই, তাঁর ভাই এবং তাঁদের আরও দুই আত্মীয় মিলে মেওয়ার অয়েল অ্যান্ড জেনারেল মিলস লিমিটেডের ২.৮ শতাংশ শেয়ার কেনেন। তথনও কোম্পানিটি শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত ছিল না। পরবর্তী সময়ে সংস্থার ব্যবসা ধারে-ভারে বাড়তে থাকায় প্রোমোটারেরা নাম পরিবর্তন করে রাখেন ‘পি আই ইন্ডাস্ট্রিজ’। বর্তমানে কোম্পানির বাজারমূল্য প্রায় ৫০ হাজার কোটি।
পি আইয়ের বৃদ্ধির সঙ্গে জর্জ ভালাইদের বিনিয়োগ লাফিয়ে বেড়েছে। বর্তমানে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে সংস্থার এক ইউনিট শেয়ারের দাম প্রায় ৩ হাজার ২৪৫ টাকা। সেইমতো জর্জ ভালাইয়ের ২.৮ শতাংশ শেয়ার বেড়ে হয়েছে ৪২ লক্ষ ৪৮ হাজার। আর ৪৩ বছরে সেই শেয়ারের বাজার মূল্য বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। কিন্তু, এতগুলো বছর পেরিয়ে যেতে নিজের লগ্নি বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন জর্জ। ২০১৫ সালে পিআইকে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি দেখতেই টনক নড়ে জর্জের ছেলের।
বর্তমানে পিআইয়ের রেজিস্ট্রার কার্ভি কনসালট্যান্ট। তাদের কাছে দরবার করলে জর্জ পুত্র কে ভালাইকে কোম্পানির কাছে যেতে বলা হয়। তখন জর্জের ছেলে পি আইকে বলেন, বাবার শেয়ার সার্টিফিকেট ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করে দিন। কিন্তু, তাদের জবাব শুনেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে কে ভালাইয়ের। পিআই সাফ জানিয়ে দেয়, ১৯৮৯ সালের সেপ্টেম্বরে ভালাই পরিবারের শেয়ার অন্যদের দেওয়া হয়েছে। তখন কে ভালাই বলেন, শেয়ারের আসল শংসাপত্র পরিবারের কাছেই রয়েছে। তাহলে কী করে শেয়ার স্থানান্তরিত করা হল? কোম্পানির আইনের নিয়ম না মেনে জালিয়াতি করে শেয়ার অন্যকে দেওয়া হয়েছে এই দাবি করে সেবির দরবার করেছেন কে ভালাই। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার (সেবি) প্রশ্নের জবাবে একই উত্তর দিয়েছে পিআই। তদন্ত করছে সেবি। আর তাই ‘গুপ্তধনে’র খোঁজে আশায় দিন গুনছে ভালাই পরিবার।