বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উদ্যোগটা নিয়েছে ইউনিসেফ। তারাই বিভিন্ন দোকানে সমাজসচেতনতার পক্ষে প্রচার চালিয়েছে। তাদের উদ্যোগে সাড়া দিয়েছে রাজধানীর বহু দোকানদার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সম্মতিতে দিল্লির জেলা টিকাকরণ আধিকারিকের মাধ্যমে এই অভিনব প্রয়াস চলছে। যেমন উত্তর-পূর্ব দিল্লির সিলমপুরে আক্রম ভাই বিরিয়ানিওয়ালার দোকান। ছাড় দেওয়ায় বিক্রি বেড়ে গিয়েছে। দেদার বিকোচ্ছে চিকন, মাটন বিরিয়ানি। ক্রেতা মোবাইলে দেখাচ্ছেন ভ্যাকসিন নেওয়ার শংসাপত্র, সঙ্গে সঙ্গে বিলে মিলছে বিশেষ ছাড়। দিল্লিতে অভিনব এই উদ্যোগ কাজে দেওয়ায় এবার পশ্চিমবঙ্গেও তা প্রয়োগ করার কথা ভাবছেন ইউনিসেফের কর্তারা। তবে বঙ্গবাসীর মিষ্টির প্রতি দুর্বলতার কথা মাথায় রেখে এই পরিকল্পনায় রাখা হচ্ছে মিষ্টির দোকানগুলিকে। দিল্লি সরকারের টিকাকরণ আধিকারিক পীযূষ মিশ্র বলেন, বাংলায় তো প্রচুর মিষ্টির দোকান। তাই মানুষকে ভ্যাকসিন নেওয়ার উৎসাহ বাড়াতে মিষ্টিতে ছাড়ের পরিকল্পনা নেওয়া যেতেই পারে। ইউনিসেফের মুখপাত্র সোনিয়া সরকার বলেন, পশ্চিমবঙ্গেও এই উদ্যোগ কাজে দেবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষেত্রে আলাদা উপায় বের করা হচ্ছে। যেমন, মধ্যপ্রদেশে ট্রাকের পিছনে লেখা হচ্ছে কোভিড সতর্ক বার্তা। এক সময়ের সুপারহিট হিন্দি ছবি ‘ববি’র ঝুট বোলে কাউয়া কাটে গানের কলির অনুকরণে ট্রাকের পিছনে লেখা হচ্ছে, ম্যায় টিকা লগবা কে চলি যাউঙ্গি, তুম দেখতে রহিয়ো…।
কেন্দ্র বুঝে গিয়েছে, একা সরকারের পক্ষে টিকা নিতে অনীহা কাটানো সহজ কাজ নয়। তাই মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহ জোগাতে এবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে কাজে লাগাতে উদ্যোগী মোদি সরকার। মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা সচেতনতার পাশাপাশি টিকাকরণে উৎসাহ বাড়াতে সমাজের বিভিন্ন সেলিব্রেটিকে কাজে লাগাতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আইসিএমআর। কেন্দ্রের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির চেয়ারম্যান ডাঃ বিনোদকুমার পল বলেন, এ জন্য সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। এদিকে, দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা অত্যন্ত কমে গিয়েছে। বর্তমানে গোটা দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লক্ষ ৭৩ হাজার ১৫৮ জন। ৬৬ দিন পর এই সংখ্যা ১০ লক্ষের নীচে নেমেছে।