বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলায় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন সুলভ। মৃত্যুর ঠিক আগের দিন প্রাণনাশের আশঙ্কায় পুলিসের পদস্থ কর্তাদের চিঠি লিখেছিলেন তিনি। সুলভের আশঙ্কা ছিল, জেলার মদ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে খবর করায় বিপদের গন্ধ পাচ্ছেন তিনি। যদিও, তাঁর দেহ উদ্ধারের পর পুলিস দুর্ঘটনা তত্ত্ব সামনে আনায় বিতর্ক চরমে। জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, রবিবার রাত ১১টা নাগাদ কাজ সেরে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন সুলভ। একটি ইটভাটার কাছে বাইক থেকে পড়ে যান তিনি। ইটভাটার শ্রমিকরাই ওই সাংবাদিককে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতলে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা সুলভকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মোটরসাইকেলে একাই ছিলেন ওই সাংবাদিক। রাস্তার পাশের একটি টিউবওয়েলে ধাক্কা লেগে তিনি পড়ে যান। পুলিস জানিয়েছে, মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে, পুলিসের এই বয়ান কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে দুর্ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা সুলভের দেহের একটি ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই সাংবাদিকের মুখে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। শরীরে জামা প্রায় নেই বললেই চলে। কোমরের নীচে নেমে এসেছে প্যান্টও। পাশাপাশি, মৃত্যুর আগে পুলিসকে লেখা চিঠিটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিয়েছেন সুলভের সহকর্মীরা। সেখানে তিনি লিখেছেন, ৯ জুন মদ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে করা আমার খবরটি নিউজ পোর্টালে সম্প্রচারিত হওয়ার পর শোরগোল পড়ে যায়। তারপর থেকেই টের পাচ্ছিলাম, কেউ আমাকে সর্বক্ষণ অনুসরণ করছে। আমারা সূত্র মারফত জানতে পারি, মদ মাফিয়ারা এজন্য আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। উদ্বিগ্ন আমার পরিবারের সদস্যরাও। এডিজি প্রেম প্রকাশ বলেন, ওই চিঠির কথা জানতে পেরে স্থানীয় অফিসারদের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলাম।
সুলভের দেহ উদ্ধারের পর যোগী সরকারকে আক্রমণ করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁর বক্তব্য, আলিগড় থেকে প্রতাপগড় খুনোখুনি করে বেড়াচ্ছে মদ মাফিয়ারা। প্রয়াত সাংবাদিক এসব নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। সরকার ঘুমাচ্ছে। জঙ্গলরাজের লালন পালন করা উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে প্রয়াত সাংবাদিকের পরিবারের এই কান্নার কোন জবাব আছে কি? সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের বক্তব্য, টিভি সাংবাদিকের মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলে না চালিয়ে রাজ্য সরকারের উচিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা।