নয়াদিল্লি: করোনার নয়া স্ট্রেইনে দিল্লিতে যুব সম্প্রদায়ই বেশিরভাগ আক্রান্ত হচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এক সমীক্ষায় সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এসেছে। তাঁদের অভিমত, ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সি যে ব্যক্তিরা নিয়মিত কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করছেন, তাঁরাই করোনা ফেজ-টুতে সবচেয়ে বেশি সংক্রামিত হয়েছেন। শুক্রবারও করোনা সংক্রমণ দেশে রেকর্ড গড়েছে। দেশজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৬৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। একইসঙ্গে একদিনে ৭৮০ জন করোনা আক্রান্ত প্রাণ হারিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, এই নিয়ে লাগাতার ৩০ দিন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। অন্যদিকে রোগীদের সুস্থ হয়ে ওঠার হারও কমে ৯১.২২ শতাংশে নেমে এসেছে। এহেন পরিস্থিতিতে রাজধানী দিল্লিতে দ্রুত হারে করোনা ছড়াচ্ছে। দেশের অন্য জায়গায় করোনা দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ ছড়ালেও দিল্লিতে তা চতুর্থ দফায় পৌঁছে গিয়েছে। এবার আবার যুব সম্প্রদাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সংক্রমণের জেরে শুক্রবারই দিল্লির সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি দিল্লি জিমখানা শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এর মধ্যেও আশার খবর হল, গত সাতদিনে দিল্লির ১৪৯টি জেলায় কেউ কোভিড আক্রান্ত হননি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এদিন এই দাবি করেন।
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হল উইকেন্ড লকডাউন। এবার থেকে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার রাত ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৭টা পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। এছাড়া গোটা রাজ্যে নিয়মিত রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি থাকছে। এছাড়া সংক্রমণ রুখতে মুম্বইয়ের ছ’টি স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রিও এদিন থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই স্টেশনগুলি থেকে দূরপাল্লার ট্রেন যাতায়াত করে। মহারাষ্ট্রের মতো পুদুচেরিতেও নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছে।
এছাড়া জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। শুক্রবার এক ট্যুইটে আবদুল্লা জানান, তাঁর কোনও উপসর্গ নেই। তিনি হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।