দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
কারণ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিলগ্নিকরণ বাবদ আয় হয়েছে মাত্র ১২ হাজার কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত একের পর এক বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়া থমকে আছে। এয়ার ইন্ডিয়া থেকে ভারত পেট্রলিয়াম, সবই আটকে রয়েছে। সুতরাং বিলগ্নিকরণ বাবদ আগামী তিনমাসে বড় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া সম্ভব নয়। অর্থমন্ত্রক মনে করছে, অন্তত ৫ থেকে ৭ লক্ষ কোটি টাকার ঘাটতি হবে এবার। আর আগামী বাজেটে সরকার চাইছে অনেক বেশি খরচ করতে পরিকাঠামো খাতে। কারণ যত টাকা বাজারে আসবে, ততই আর্থিক লেনদেন বাড়বে। কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে। জিডিপি বৃদ্ধির হারকে যেভাবেই হোক শূন্যের উপরে নিয়ে যেতে সরকার মরিয়া। কিন্তু খরচের বাজেট করলেও টাকা আসবে কোথা থেকে? এই চিন্তা আরও বেড়েছে এই বিপুল আর্থিক ঘাটতির আশঙ্কাকে সামনে রেখে।
এই কারণেই সরকারের একাংশ চাইছে বিমাক্ষেত্রে এফডিআইয়ের পরিমাণ ৪৯ শতাংশ থেকে ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে যেতে। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দলের মধ্যে মতান্তর তৈরি হয়েছে। দেশীয় বিমা ক্ষেত্রকে এভাবে পুরোপুরি বিদেশি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে দলেরই একাংশ। আরএসএস থেকেও এই লক্ষ্যের বিরোধিতা করা হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু আয় ও রাজস্ব বাড়াতে সরকারকে বিলগ্নিকরণের পথে হাঁটতেই হবে। এই নিয়ে সরকারের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত এফডিআই হলে বহু বিদেশি বিমা সংস্থা ভারতীয় সংস্থা অধিগ্রহণ করতে পারবে এবং ভারতে আসবে বিশ্বের প্রথম সারির বিমা সংস্থাগুলি। সরকার মনে করছে সেক্ষেত্রে বিমার প্রকৃত উন্নয়ন হবে।