বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পাটনায় পত্রকনগর থানা এলাকার মহাত্মা গান্ধী নগরে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকত অতুল। সেখান থেকেই গোটা বিহারে বেআইনি মদের ব্যবসা চালাত সে। পত্রকনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মনোরঞ্জন ভারতি বলেছেন, বেআইনিভাবে মদ বিক্রি করে ওই যুবক দিনে ন’লক্ষ টাকারও বেশি আয় করত। ভাড়াবাড়ি থেকে তার ব্যাঙ্কের পাশবুক ও আর্থিক লেনদেনের একাধিক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিস সূত্রে খবর, পাটনার আলোয়ালপুর গ্রামে অতুলের আদি বাড়ি। নয়ডার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সে এমবিএ পাশ করে বলে জানা গিয়েছে। ধরা পড়ার পর পুলিসকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে ওই যুবক। নিজেকে ছাত্র বলে পরিচয় দেয়। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র দেখিয়ে পালানোর চেষ্টাও করে। কিন্তু পরে জেরার মুখে সে অপরাধ স্বীকার করে নেয়।
পুলিসের দাবি, জেরায় ধৃত ওই যুবক জানিয়েছে, বেকার যুবকদের সে মদ ডেলিভারির কাজে লাগাত। ‘ড্রাই’ বিহারে কোথাও মদ পৌঁছে দিতে পারলেই তারা পেয়ে যেত কড়কড়ে ৫০০ টাকা। ইন্দ্রজিৎ সিং ও সঞ্জীব কুমার নামে দুই শাগরেদকে গ্রেপ্তারের পরই অতুলকে ধরতে ফাঁদ পাতে পুলিস। বেআইনি মদের ব্যবসায় অতুলের সহযোগী বিশাল কুমারও ধরা পড়েছে পুলিসের জালে। তার বাড়ি পাটনার পান্ডেপুর তিলহরি গ্রামে। দুই শাগরেদ ইন্দ্রজিৎ ও সঞ্জীব এবং অতুলকে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিস জানতে পেরেছে, অতুলের ভাড়াবাড়ির দু’টি ঘরে মদ মজুত করা থাকত। বৈশালী এলাকার চারজন পাচারকারী তাকে ওই মদ সরবরাহ করত বলে জানতে পেরেছে পুলিস। তার পর অর্ডার অনুযায়ী চড়া দামে নির্দিষ্ট জায়গায় মদ পৌঁছে দিত তার ‘ডেলিভারি বয়’রা।