বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গুয়াহাটির হেঙ্গেরাবাড়ির একটি মহিলা হস্টেলের মালকিন তিনি। রয়েছেন ১৫ জন আবাসিক। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হস্টেলজুড়ে। কোনওরকমে একটি ঘরে আশ্রয় নিয়ে লোকজন ডাকাডাকি করেন মৌসুমী। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যান বনকর্মীরা।
মৌসুমী জানান, সম্ভবত গতকাল রাতে হস্টেলের আশপাশে ঘুরছিল চিতাবাঘটি। পরে সে সোফার নীচে আশ্রয় নেয়। সেখানেই কোনওভাবে আটকে পড়ে। তিনি বলছিলেন, ‘আমরা সাধারণত সোফার নীচে কাপড়চোপড় ফেলে রাখি। সকালে উঠে একটি কাপড় ধরে হ্যাঁচকা টান মারতেই ভুল ভাঙে। কাপড়টি বেশ ভারি মনে হচ্ছিল। একটু ঝুঁকে উঁকি মারতেই নজরে আসে চিতাবাঘটি।
সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে বেরিয়ে আবাসিকদের নিয়ে একটি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিই।’
খবর যায় পুলিসে। হস্টেলে চলে আসেন অসম চিড়িয়াখানা, বন্যপ্রাণ বিভাগ, টেরিটরিয়াল ডিভিশনের কর্মীরা। লেপার্ডটিকে বশে আনতে ঘুমপাড়ানি বন্দুক থেকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ হয়েই সেটি পাশের একটি বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। খাঁচায় করে সেটিকে অসম রাজ্য চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আচ্ছন্নভাব কাটলে শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। তারপর একটি মাইক্রোচিপ লাগিয়ে লেপার্ডটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার হবে। কোনও রকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া সেটিকে উদ্ধার করায় বনকর্মীদের প্রশংসা করেছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লাবৈদ্য।