বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত বছর ডিসেম্বর মাসেও একগুচ্ছ পরিষেবার খরচ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল ভারতীয় ডাক বিভাগ। প্রায় সবগুলিই বাস্তবায়িত হয়েছে। কিন্তু ন্যূনতম ব্যালান্স রাখার বিষয়টি ঝুলেছিল নানা কারণে। তার অন্যতম হল বিভিন্ন মহলের বিরোধিতা। তার মধ্যেই চলে আসে কোভিড মহামারী। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন... কল-কারখানা বন্ধ। আর্থিকভাবে মানুষ বেশ বিপাকে পড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে প্রস্তাবটি আর কার্যকর করা যায়নি। তবে এবার বিষয়টি ফেলে রাখতে রাজি নয় মোদি সরকার। সিদ্ধান্ত একরকম পাকা। তা হলেও বিষয়টি নিয়ে আরও একবার ভেবে দেখার আর্জি আসছে কেন্দ্রের কাছে। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিও উঠছে একাধিক জায়গা থেকে।
দাবির স্বপক্ষে যুক্তি—দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্কিং পরিকাঠামো রয়েছে একমাত্র ডাক বিভাগেরই। শাখার সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার। পরিষেবা পান কোটি কোটি মানুষ। তাঁদের মধ্যে বহু গ্রাহক রয়েছেন, যাঁরা সামান্য টাকা জমা রেখে পোস্টাল সেভিংস অ্যাকাউন্ট বাঁচিয়ে চলেছেন। যাতে ডাকঘরের মাধ্যমে সরকারি ভর্তুকি বা আর্থিক সাহায্য পেতে পারেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আ্যাকাউন্টে জমা পড়া টাকা খরচ হয়ে যায়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে তাঁরা বিপাকে পড়বেন। আর্থিকভাবে প্রবল চাপের মুখোমুখি হবেন অসংখ্য গ্রাহক। ডাক বিভাগের অবশ্য পাল্টা যুক্তি, পরিকাঠামো ও প্রশাসনিক কাজকর্মে বিপুল খরচ হচ্ছে। সামাল দিতে অন্য কোনও উপায় নেই তাদের কাছে।
এখন প্রশ্ন হল, ন্যূনতম ব্যালান্সের ক্ষেত্রে কী কী শর্ত আরোপ করা হচ্ছে? জানা গিয়েছে, অ্যাকাউন্টে বছরভর ৫০০ টাকা রাখা আবশ্যক। তার কম হলেই জরিমানা ১০০ টাকা। প্রতি আর্থিক বছরের শেষ দিনে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা কেটে নেওয়া হবে। পাশাপাশি সুদও পাবেন না তিনি। সেক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ১০ তারিখ থেকে মাস-শেষ পর্যন্ত অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালান্স রাখতেই হবে। না হলে ওই মাসে কোনও সুদ মিলবে না। পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদের হার বার্ষিক চার শতাংশ।
এদিকে, টাকা তোলার ক্ষেত্রেও ন্যূনতম ব্যালান্সের উপর থাকবে কড়া নজর। ৫০০ টাকার নীচে নেমে গেলে সেই টাকা তুলতে দেওয়া হবে না গ্রাহককে। নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইলে ৫০০ টাকা জমা রেখেই তা খুলতে হবে। শুধু তাই নয়, অ্যাকাউন্ট চালু রাখার জন্য ডাক বিভাগ বিভিন্ন চার্জ কাটে। সেগুলি কাটতে গিয়ে বা অন্য কোনও কারণে অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স শূন্যে নেমে এলে সমূহ বিপদ! সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ হয়ে যাবে অ্যাকাউন্ট। তা জানিয়েও দেওয়া হবে গ্রাহককে। ‘সাইলেন্ট’ অ্যাকাউন্টগুলির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। কোনও অ্যাকাউন্টে পরপর তিন বছর টাকা জমা বা তোলা না হলে সেটিকে ‘সাইলেন্ট’ অ্যাকাউন্ট হিসেবে ধরা হয়।