বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার নাভিদ বাবুর সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে বুধবারই ওয়াহিদকে গ্রেপ্তার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। মেহবুবা মুফতির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই ওয়াহিদ। গ্রেপ্তারির পর থেকে ওয়াহিদ ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছেন পিডিপি নেত্রী। কিন্তু মেহবুবাকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। শুক্রবার এ নিয়ে ট্যুইটারে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। জম্মু ও কাশ্মীরের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘বেআইনিভাবে আমাকে ফের আটক করা হয়েছে। গত দু’দিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন আমাকে পুলওয়ামায় ওয়াহিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিচ্ছে না। বিজেপির মন্ত্রী ও তাঁদের হাতের পুতুলরা কাশ্মীরের যেকোনও প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু, আমার ক্ষেত্রেই নিরাপত্তার সমস্যা হচ্ছে।’
পাশাপাশি তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সাঁজোয়া গাড়ির একটি ছবিও পোস্ট করেছেন মেহবুবা। তিনি আরও বলেছেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আর এখন আমার মেয়ে ওয়াহিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চাওয়ায় তাঁকেও গৃহবন্দি রাখা হয়েছে। ইলতিজাও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে এদিন বলেন, আমার মাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, এটাই কি গণতন্ত্র, যেখানে বাকস্বাধীনতা ও মনের ভাব প্রকাশ করার কোনও অধিকার নেই? একজন যখন কোনও কিছু নিয়ে আওয়াজ তুলছে, তখন তাঁকে ভয় দেখানো হচ্ছে।
এদিকে, ওয়াহিদের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়া নিয়ে মেহবুবার পাশে দাঁড়িয়েছেন ‘পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকর ডিক্লারেশন’ (পিএজিডি)-এর জোটসঙ্গী ওমর আবদুল্লা। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সরকার ‘দয়া’ হিসেবে দেখাচ্ছে বলে এদিন মন্তব্য করেন তিনি। ট্যুইটারে ন্যাশনাল কনফারেন্সের সহসভাপতি লিখেছেন, ‘আমাদের বাড়ির গেটের সামনে ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখা জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার বাবা যাতে মসজিদে প্রার্থনা করতে না যেতে পারেন, সেজন্য সম্প্রতি একই পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রশাসন। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সরকার দয়া হিসেবে দেখছে। আর তা দেওয়া বা না দেওয়া সরটাই তাদের হাতে। বিচার বিভাগ এ বিষয়ে হস্তক্ষেপই করছে না’