বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রথমে আমন্ত্রণ তালিকা ছিল ২৫০ জনের। কিন্তু একদিকে উত্তরপ্রদেশে বাড়তে থাকা করোনার সংক্রমণ এবং অন্যদিকে ৫ আগস্ট অযোধ্যায় জঙ্গি হামলার সতর্কবার্তা ছবিটা বদলে দিয়েছে। তাই ১৭০ জন উপস্থিত থাকছেন গোটা শিলান্যাসস্থলে। মঞ্চে মাত্র পাঁচজন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং মহন্ত নিত্যগোপাল দাস। রামলালার অন্যতম পুরোহিত সন্তোষ তিওয়ারি আবেগপ্রবণ। উত্তেজিত। অযোধ্যা থেকে জানালেন, ‘২৮ বছর ধরে এই দিনটির অপেক্ষায় ছিল অযোধ্যা নগরী।’ এতকাল রামলালার নিত্যপুজো করে এসেছেন সন্তোষ তিওয়ারি। কাল কী কী হবে? সন্তোষ তিওয়ারি বললেন, ‘ভোরে হবে মঙ্গলারতি। রাত থেকেই সীতারাম শ্লোকধ্বনি শুরু হয়ে গিয়েছে। হনুমান চালিশা পাঠ হবে সারা রাত। শহরে মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে অকাল দীপাবলী। প্রতিটি মন্দির ও বাড়িতেই দীপ জ্বালানো হয়েছে।’
অযোধ্যায় করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে উদ্বেগজনকভাবে। পাশাপাশি স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংক্রামিত হয়ে হাসপাতালে। এমতাবস্থায় মোদির অযোধ্যায় সরাসরি উপস্থিত না থাকাই ছিল প্রত্যাশিত। কিন্তু রামমন্দির হিন্দুত্ব রাজনীতির একটি প্রতীক। এই একটিমাত্র ইস্যু... আটের দশকে মাত্র দু’জন এমপির দল বিজেপি অবিশ্বাস্য সাফল্যে ক্ষমতায় আরোহণ করেছিল নয়ের দশকে। আর সেই সফরের শেষ গন্তব্য রামমন্দির নির্মাণ। সুতরাং এহেন এক মাহেন্দ্রক্ষণে মোদি যে উপস্থিত থাকার সুযোগ ছাড়বেন না, তা বলাই বাহুল্য।
মন্দির হবে ১৬১ ফুট উচ্চতার। দোতলা। থাকবে মোট ২১২টি পিলার। প্রতিটি পিলারে থাকবে দু’টি করে মূর্তি। রামায়ণের চরিত্র। প্রথম তলে থাকবে নৃত্যমণ্ডপ, কীর্তন মণ্ডপ, সিংহদরজা, গর্ভগৃহ। দ্বিতীয় তলে দরবার হল। লক্ষ্মণের মন্দির। গোটা মন্দির চত্বরে রামায়ণ বর্ণিত হবে মূর্তির মাধ্যমে। অযোধ্যার এই মন্দির নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করেছে রামজন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট। আজ শিলান্যাসের পর প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন বছর সময় লাগবে মন্দির সম্পূর্ণ হতে। অর্থাৎ ২০২৪ সাল। আগামী লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই! সুতরাং আন্দাজ করাই যায়, ১০ বছরের একটি রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করবে মোদি সরকার। আর তাতে সেরা সাফল্য হিসেবে কী প্রচার হবে? রামমন্দির!