বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সময়কে বশ করার বুঝি জাদুমন্ত্র জানতেন অনামিকা শুক্লা! হারময়িনির অবিকল চরিত্র তিনি। পার্থক্য শুধু একটাই। হারময়িনি ছিল কাল্পনিক চরিত্র। অনামিকা রক্তমাংসের মানুষ, বিজ্ঞানের শিক্ষিকা। একটি-দু’টি স্কুলে নয়, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলার কমপক্ষ ২৫টি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে একযোগে পড়াতেন তিনি। এভাবেই তিনি পড়িয়ে গিয়েছেন দীর্ঘ ১৩ মাস। গত ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বেতনবাবদ এক কোটিরও বেশি টাকা সরকারি কোষাগার থেকে তুলে নিয়েছেন অনামিকা।
ভাগ্যিস উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ডিজিটাল তথ্যপঞ্জি তৈরি করছে! তা না হলে কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের এই শিক্ষিকাকে চিনতই না কেউ। নির্বিবাদে এক নাম ও পরিচয় দিয়ে একাধিক স্কুলে পড়িয়ে যেতেন তিনি। তাঁর এই কীর্তি ফাঁস হতেই নড়েচড়ে বসেছেন যোগীর মন্ত্রী-আমলারা। তাজ্জব শিক্ষক মহল। ঠিক কোন ‘জাদুমন্ত্রে’ অনামিকা এতদিন ধরে এই দুর্নীতি চালিয়ে গিয়েছেন, তা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর।
ডিরেক্টর জেনারেল (স্কুল এডুকেশন) বিজয়কিরণ আনন্দ বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতার যুতসই প্রমাণ মেলেনি। ওই শিক্ষিকা এখন পলাতক। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগের প্রমাণ পেলে ওই শিক্ষিকার নামে এফআইআর করা হবে।’ উত্তরপ্রদেশের স্কুলমন্ত্রী সতীশ দ্বিবেদি বলেছেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষা দপ্তরে স্বচ্ছ্বতা আনতে শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের ডিজিটাল তথ্যপঞ্জি তৈরির উদ্যোগ নিই। তাতেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থাই নেওয়া হবে। এর জন্য দপ্তরের কর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’