বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত বুধবার বেলা গড়াতেই দুশ্চিন্তার কালো মেঘ ঘনিয়েছিল পুর আধিকারিকদের কপালে। সময় নষ্ট না করে পুরসভার প্রশাসক ববি হাকিমের সঙ্গে কথা বলে সাবধানতা অবলম্বন করেন ট্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা। ১১০ ফুট উচ্চতার এই ট্যাঙ্কের জলধারণ ক্ষমতা ৯০ লক্ষ গ্যালন। দিনে ২৪ ঘণ্টা হাইড্রোলিক পদ্ধতিতে শহর কলকাতার বিভিন্ন অংশে জল সরবরাহ করা হয়। অন্যদিকে, পলতা থেকে পরিশুদ্ধ পানীয় জল ২২ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এসে প্রথমে ছটি পাইপের মাধ্যমে ট্যাঙ্কের নীচে পৌঁছয়। এক আধিকারিক জানান, মাটির নীচ থেকে জল ওঠানামা করানো হয়। স্বাভাবিক সময়ে ট্যাঙ্কে রাত এগারোটা নাগাদ ৩ ফুট জল রাখা হয়। কিন্তু ওইদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জল নামতে দেওয়া হয়নি। ৮ ফুটের বেশি জল রাখা হয়েছিল। ঝড়ের ঝাপটায় কোনও সমস্যা না-হয়, তাই আগে থেকেই প্রায় ৮০ লক্ষ গ্যালন জল ভর্তি করে রাখা হয়েছিল। জল সহ ট্যাঙ্কের ওজন ছিল সেই মুহূর্তে ৮৫ হাজার মেট্রিক টন।
ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ঝড়ের আগে থেকেই নানা সতর্কতা নিয়েছিল পুরসভা। ট্যাঙ্কের উপরে সংস্কারের জন্য থাকা ক্রেন আলগা করে দেওয়া হয়েছিল যাতে হাওয়ার অভিমুখে সেটা ঘুরতে পারে। আর জল ভর্তি করে ট্যাঙ্কের ওজন বাড়িয়েই প্রবল গতি সামলানো গিয়েছে। যে কারণে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন আধিকারিকেরা। টাইটানিকের সমান লোহা দিয়ে তৈরি এই বিশাল কাঠামো যদি হাওয়ার তীব্রতায় ভেঙে পড়ত বা সেখান থেকে কিছু খুলে পড়ত, তার ফল হতো ভয়ঙ্কর। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারদের কৌশলে সেই ধাক্কা এড়ানো গিয়েছে।