বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
করোনা মোকাবিলায় ২১ দিনের দেশজোড়া লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ এপ্রিল। যদি তা আর বৃদ্ধি না পায়, তাহলে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকেই ট্রেন পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা করেছে রেলমন্ত্রক। কিন্তু একবারে সমস্ত ট্রেন না চালিয়ে ধাপে ধাপে ট্রেন পরিষেবা শুরু করতে চাইছেন রেলের আধিকারিকেরা। তবে যেসব ট্রেন চলবে, সেইসব ট্রেনের যাত্রীদের মাধ্যমে যাতে ফের করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতেই রেলযাত্রীদের একগুচ্ছ নির্দেশিকায় বেঁধে ফেলতে চাইছে মন্ত্রক। তার মধ্যে অন্যতম ট্রেনে চড়ার জন্য যাত্রীদের মাস্কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার। সেই সঙ্গে প্রতিটি যাত্রীকে স্যানিটাইজার দেবে রেল। কিন্তু যাত্রীরা স্যানিটাইজারের ব্যবহার করছেন কি না, তা নিয়মিতভাবে খতিয়ে দেখবেন ট্রেনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট রেলকর্মীরা। এরই পাশাপাশি ট্রেনে ওঠার আগে বাধ্যতামূলকভাবে প্রতিটি যাত্রীর থার্মাল স্ক্রিনিং করবে রেল। যেহেতু এটি সামান্য হলেও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, তাই থার্মাল স্ক্রিনিং করতে গিয়ে যাতে ট্রেন লেট না হয়ে যায়, তাও নিশ্চিত করছে মন্ত্রক। একইভাবে চলন্ত ট্রেনে আচমকা থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এসব ক্ষেত্রে টিটিইদের হাতেই থার্মাল স্ক্রিনিং যন্ত্র দেওয়া যায় কি না, সেই ব্যাপারে পর্যালোচনা করছেন রেলমন্ত্রকের আধিকারিকেরা।
রেল মনে করছে, সামাজিক দূরত্ব বা সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বজায় রাখার জন্য ট্রেনের মিডল বার্থগুলি ফাঁকা রাখার তুলনায় অন্য ভালো বিকল্প নেই। এই পরিস্থিতিতে মিডল বার্থগুলির বুকিং বাতিল করার পদক্ষেপ করা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। তবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে আগামী ১৫ এপ্রিল কিংবা তার পরবর্তী কোনও তারিখের ট্রেন টিকিট বুকিং করতে গিয়ে যাঁরা ইতিমধ্যেই মিডল বার্থ পেয়েছেন, তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করারও পরিকল্পনা করছে রেলমন্ত্রক। অন্যদিকে, আজ রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রেলের চিকিৎসক এবং প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের জন্য প্রতিদিন গড়ে এক হাজারটি করে পিপিই-টাইপ ‘ওভার অল’ তৈরি করতে পারবে রেলের বিভিন্ন ওয়ার্কশপ।