বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন গুজরাত, তামিলনাড়ু এবং মধ্যপ্রদেশে একজন করে মানুষের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে সারাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত বেড়ে দাঁড়াল ১৪। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ জন। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৭১৮। করোনা নিয়ে সরকারি পদক্ষেপে কাজ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে আইসিএমআর। সংস্থার পক্ষে আর গঙ্গা কেতকার বুধবার বলেন, ‘সরকারের পদক্ষেপগুলি এতটাই কার্যকর যে আমরা তা মেনে চললে দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়বে না।’ করোনা নিয়ে স্বস্তির কথা শুনিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়ালও। তাঁর কথায়, ‘ভারতে করোনা ভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটেছে এমন দাবি করার মতো পোক্ত প্রমাণ নেই।’ তবে এই সাফল্যে থেমে থাকলে চলবে না। বরং লকডাউনের সময় নির্দেশিকা মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলেই গোষ্ঠী সংক্রমণ রোখা যাবে বলে লব জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘সরকার এবং সাধারণ মানুষ একসঙ্গে কাজ না করলে এবং নির্দেশিকা না মানলে কোভিড-১৯ গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে এবং চিকিৎসা করালে ভারতে এমনটা হবে না।’ করেনার মতো অতি ছোঁয়াচে রোগের ছড়িয়ে পড়ার জন্য গোষ্ঠী সংক্রমণকেই সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। সেক্ষেত্রে সংক্রমণের উৎস নির্ণয় করা যায় না। ফলে রোখা না যাওয়ায় সংক্রমণ বাড়তেই থাকে। যেমনটি হয়েছে ইতালিতে। ভারতের মতো চিকিৎসা পরিকাঠামো থাকা দেশের ক্ষেত্রে তার প্রভাব আরও ভয়াবহ হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
করোনা রুখতে ২১ দিন লকডাউন জারি হয়েছে সারাদেশে। এর জেরে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও পরিষেবায় খামতি না থাকে, তার জন্য সরকার সচেষ্ট বলে তিনি জানিয়েছেন। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যগুলির ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন তিনি। কেবল করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ১৭টি রাজ্য আলাদা হাসপাতালের ব্যবস্থা করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে করোনা নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। বলা হচ্ছে, মশার মাধ্যমেও করোনা ছড়ায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে অবশ্য এমন সম্ভাবনা খারিজ করা হয়েছে।