বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্ভয়া গণধর্ষণ ও খুন মামলায় নতুন করে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আদালত। আগামী ৩ মার্চ সকাল ৬টায় মুকেশকুমার সিং, পবন গুপ্তা, বিনয় ও অক্ষয় কুমারের ফাঁসি হওয়ার কথা। কিন্তু যে কোনও উপায়ে মৃত্যুদণ্ড ঠেকাতে একের পর এক কৌশল নিচ্ছে দোষীরা। বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ তো রয়েইছে। পাশাপাশি, দিন কয়েক আগে জেলের মধ্যে আমরণ অনশন শুরু করেছিল বিনয়। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
এই মুহূর্তে বিনয়ের বাঁচার সব রাস্তা বন্ধ। শেষ আইনি সংস্থানও। তাই এবার অসুস্থতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে নির্ভয়া কাণ্ডে অন্যতম এই সাজাপ্রাপ্ত। শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তার আইনজীবী। তিনি জানান, বিনয় পাগলামি, মানসিক অসুস্থতা ও সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছে। নিজের মাকেও সে চিনতে পারছে না। পাশাপাশি, তার মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে এবং হাতও ভেঙে গিয়েছে। সম্প্রতি জেলে গিয়ে তিনি এমনটাই দেখেছেন বলে আদালতে উল্লেখ করেন বিনয়ের আইনজীবী। এই পরিস্থিতিতে নির্ভয়া কাণ্ডের অন্যতম সাজাপ্রাপ্তকে হিউম্যান বিহেভিয়ার অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্স হসপিটালে স্থানান্তরিত করে চিকিত্সা করানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। এব্যাপারে জেল কর্তৃপক্ষের জবাব তলব করেছে আদালত।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ফাঁসি থেকে থেকে বাঁচতে নিত্যদিন নতুন নতুন নাটক করছে সাজাপ্রাপ্তরা। আইনি জটিলতাকে কাজে লাগিয়ে দু’বার মৃত্যুদণ্ড পিছিয়ে দিতে সমর্থ হয়েছে তারা। তৃতীয়বার তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এবারও ফাঁসি ঠেকাতে তারা নতুন কোনও কৌশল নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে প্রথমে হাত ভাঙার চেষ্টা করে বিনয়। পরে দেওয়ালে মাথা ঠুকে নিজেকে জখম করার চেষ্টা করে। কিন্তু, জেলকর্মীরা সতর্ক থাকায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। অন্যদিকে, তাকে বাঁচাতে আদালতে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন তার আইনজীবী। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, আইনি সংস্থান শেষ হয়ে গেলেও মানসিকভাবে অসুস্থ বা সিজোফ্রেনিয়ায় রোগীকে ফাঁসিতে ঝোলানোর ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে। মক্কেলকে বাঁচাতে তাই এই কৌশল নেওয়ার চেষ্টা করছেন বিনয়ের আইনজীবী।