বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রামলীলা ময়দান জুড়ে আম আদমির হাতে আন্দোলিত তিরঙ্গা আর ঝাড়ু আঁকা পার্টির ঝান্ডা। ক্ষণে ক্ষণেই দশর্ক-শ্রোতারা গেয়ে উঠছেন, লগে রহো লগে রহো কেজরিওয়াল। মুখ্যমন্ত্রীর খুদে সংস্করণ এক বছরের অব্যান তোমারকে নিয়েও টানাটানি। ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে রামলীলা ময়দানে জনসাধারণকে সাক্ষী রেখেই শপথ নিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। আজ নিয়ে তৃতীয়বার। আগের দু’বারই মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নেওয়ার সময় মাথায় ছিল আপ লেখা ‘আন্না টুপি’। এবার কিন্তু তা চোখে পড়ল না! আম জনতার জনজোয়ারে ভেসেই ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিলেন কেজরিওয়াল। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানে প্রায় কানায় কানায় ভরা ছিল ময়দান। বেলা ১২টায় শপথ হলেও সকাল থেকেই জমেছে ভিড়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দিল্লির সাত লোকসভা (সবই বিজেপি) ও রাজ্যসভার (সবই আপ) তিন এমপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এছাড়া নিমন্ত্রিত বলতে বিজেপির আট বিধায়ক এবং পুরসভার ২৪০ জন কাউন্সিলার। মঞ্চে হাজির করা হয়েছিল অটোচালক, স্থপতি, শিক্ষিকা, মহল্লা ক্লিনিকের ডাক্তারের মতো সমাজের সাধারণ প্রতিনিধিদের। যাদের বলা হয়েছে, ‘দিল্লি কে নির্মাতা।’ খোলা চিঠির আদলে কেজরিওয়াল আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন আম জনতাকে। আর সেই আমন্ত্রণ পেয়েই শপথস্থল ভেসে গেল সাধারণের উচ্ছ্বাস আর উৎসাহে।
কেজরিওয়ালের সঙ্গে এদিন আম আদমি সরকারের পুরনো টিমকেই শপথ বাক্য পাঠ করালেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বাইজল। ব্যতিক্রমী উৎসর্গে শহিদের নামে শপথ নিলেন গোপাল রাই। এছাড়া মণীশ সিশোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন, ইমরান হুসেন, রাজেন্দ্র পাল গৌতম এবং কৈলাস গেহলট মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন। আমন্ত্রণ সত্ত্বেও এলেন না মোদি। গরহাজির অমিত শাহ সহ দিল্লির সাত বিজেপি এমপিও। বিধায়কদের মধ্যে কেবল গিয়েছিলেন বিজেন্দর গুপ্তা। মোদি না এলেও শপথ নিয়ে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করব। সরকার চালাতে আশীর্বাদ চাই প্রধানমন্ত্রীরও। নির্বাচনী প্রচারের কটুবাক্য বা আক্রমণাত্মক শব্দ আজ সবই মাফ। আমি সকলের মুখ্যমন্ত্রী। সকলের উন্নতিই দিল্লির উন্নতি। ভালোবাসার জন্য যেমন পয়সা লাগে না, একইভাবে বিজলি, পানি, চিকিৎসা, স্কুলের জন্য পয়সা আমি নেব না।’ বক্তৃতা শেষে স্লোগান দেন ‘ভারত মাতা জয়, বন্দেমাতরম।’ গেয়ে ওঠেন ‘হাম হোঙ্গে কামইয়াব’। তাতেও গলা মেলাতে কার্পণ্য করেনি আম আদমি।