বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত মঙ্গলবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। সেখানে ধরাশায়ী হয়েছে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের বিজেপি। অন্যদিকে, ৬২টি আসন জিতে তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির মসনদ দখল করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)। এদিন রামলীলা ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন কেজরিওয়াল। আর রবিবারই প্রাক্তন শরিক বিজেপির সমালোচনা করে শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’য় একটি কলাম লিখেছেন সঞ্জয় রাউত। সেখানে তিনি বলেছেন, লোকসভা ভোটের পর যে বিজেপিকে ‘অপরাজেয়’ বলে মনে হয়েছিল, দিল্লিতে তারাই ‘তাসের ঘরে’র মতো ভেঙে পড়েছে।
এরপরেই বিজেপির ধর্ম নিয়ে রাজনীতির কড়া নিন্দা করেছেন সঞ্জয় রাউত। খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘ধর্ম ছাড়া কোনও দেশ নেই। কিন্তু, ধর্ম মানে দেশাত্মবোধ নয়। দিল্লির সর্বত্র ভগবান রামকে বিজেপি প্রার্থী করলেও ভগবান হনুমানের একনিষ্ঠ ভক্ত কেজরিওয়াল দিল্লিতে রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছেন।’ এই নির্বাচন থেকে বহু কিছু শেখার রয়েছে জানিয়ে রাউত আরও বলেন, ‘দিল্লির ছবি থেকে মনে হচ্ছে কেজরিওয়াল যেন হনুমানের ভক্ত। আর দিল্লিবাসী হলেন রাম। রাম সর্বদা হনুমানের পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন।’
এখানেই থেমে থাকেননি শিবসেনার এই শীর্ষনেতা। মোদি-শাহ যে অপরাজেয় নয়, তা দিল্লি ভোট প্রমাণ করে দিয়েছে জানিয়ে সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘ভোটাররা অসৎ নন। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে ধর্মের ঘূর্ণিঝড় তোলা হয়েছিল। কিন্তু, ভোটাররা তাতে প্রভাবিত হননি।’ নির্বাচনে শুধুই যে মোদি-শাহ জিতবেন, এই মিথ ভেঙে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন রাজ্যসভার এই শিবসেনা সাংসদ।
অন্যদিকে, উদ্ধব থ্যাকারের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকারকে ‘অস্বাভাবিক ও অবাস্তব’ বলে আক্রমণ করেছেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা। তাঁর অভিযোগ, এই সরকার রাজ্যের উন্নয়নে ‘ব্রেক’ লাগিয়ে দিয়েছে। এদিন নবি মুম্বইয়ের নেরুলে আয়োজিত দলীয় এক সভায় যোগ দেন নাড্ডা। সেখান থেকে নাম না করে প্রাক্তন জোটসঙ্গী শিবসেনা সহ মহারাষ্ট্রের অন্যান্য শরিকদলকে নিশানা করেন তিনি। বিজেপি সভাপতি বলেন, গত বছর অক্টোবরে সরকার গড়ার জন্য জনাদেশ পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, কিছু ব্যক্তি ‘অসাধু উদ্দেশে’ বিজেপির থেকে আলাদা হয়ে বিরোধীদের হাত ধরে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে। এরপরেই মহারাষ্ট্র সরকারকে ‘অস্বাভাবিক ও অবাস্তব’ বলে তোপ দাগেন নাড্ডা।