বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে জয়ী সাংসদদের মধ্যে ২৩৩ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। ২০১৪ ও ২০০৯-এর লোকসভা ভোটে সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ১৮৫ জন ও ১৬২ জন। সদ্যসমাপ্ত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ জন জয়ী প্রার্থীর মধ্যে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং ২৪ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিগত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে দাগি প্রার্থীদের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। উদ্বিগ্ন শীর্ষ আদালতও। সব দিক বিচার করেই বিচারপতি রোহিনটন ফলি নরিম্যানের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, দাগি প্রার্থীদের অপরাধের রেকর্ড ফেসবুক, ট্যুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া এবং স্থানীয় ও সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। প্রার্থী নির্বাচনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেই সব তথ্য জানাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই নির্দেশের অন্যথা হলে, ওই দলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ জানাতে পারবে কমিশন। এদিন, দাগি প্রার্থীদের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঠেকাতে আইন তৈরির বার্তাও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সংসদের কোর্টেই বল ঠেলেছেন বিচারপতি। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ রাজনীতিতে দুবৃত্তায়ন ঠেকাতে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, ভোটে লড়ার আগে প্রার্থীকে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত অপরাধের তালিকা তুলে দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। শুধু তাই নয়, খবরের কাগজ ও চ্যানেলের মাধ্যমে সেকথা ভোটারদের কাছেও পৌঁছে দিতে হবে। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের সেই রায় মানা হচ্ছে না, এই অভিযোগে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। বিজেপি নেতা তথা আবেদনকারী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের করা ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।