বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, আগামী বছর থেকে সোনার গয়নায় হলমার্কিং বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি তারা জানিয়েছে, যে কোনও ক্যারেটের সোনার হলমার্ক করা যাবে না। ১৪, ১৮ এবং ২২ ক্যারেটের গয়নায় হলমার্কিং করতে হবে। কিন্তু শিল্পমহলের তথ্য, দেশে যেখানে তিন লক্ষ জুয়েলারি সংস্থা ব্যবসা করে, সেখানে এখনও পর্যন্ত হলমার্কিং রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে মাত্র ৩০ হাজার। অর্থাৎ ২ লক্ষ ৭০ হাজার দোকান এখনও এর আওতার বাইরে। কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী আগামী এক বছরের মধ্যে তাদের প্রত্যেককে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। কিন্তু শিল্পমহলের একাংশের ব্যাখ্যা, দেশে যেখানে এক হাজার হলমার্কিং সেন্টারই নেই, সেখানে কেন সরকার তা বাড়ানোর পথে হাঁটছে না? সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর শুভঙ্কর সেন বলেন, আমরা বছরের পর বছর হলমার্কযুক্ত গয়নাই বিক্রি করি। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম আমাদের কোনও সমস্যায় ফেলবে না। কিন্তু যাঁরা প্রত্যন্ত গ্রামে বসে ব্যবসা করছেন, তাঁদের পক্ষে বহু দূরে এসে গয়নার হলমার্ক করানো কঠিন। সেক্ষেত্রে সরকার পরিকাঠামো মজবুত করলে ভালো হয়।
ছোট পুঁজির ব্যবসায়ী ও কারিগরদের সংগঠন বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দার বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে, ২০০ বা ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকেও অনেকেই হলমার্কিং সেন্টারে আসেন। তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং খরচ সাপেক্ষও বটে। এক্ষেত্রে তার দায় কে নেবে? আমরা হলমার্কিয়ের বিপক্ষে নই একেবারেই। কিন্তু যেখানে সেন্টারই নেই, সেখানে নিয়ম বাধ্যতামূলক করার অর্থ বোধগম্য হচ্ছে না। আমরা কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষামন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের কাছে দাবি করেছি, ব্লক স্তরে সেন্টার গড়া হোক। টগরবাবুর আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার বলছে বছরে ৪০ লক্ষ টাকার বিক্রিবাটা না হলে জিএসটি রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক নয়। আবার জিএসটি নম্বর না থাকলে হলমার্কিং রেজিস্ট্রেশন হবে না। এই পরস্পরবিরোধী সিদ্ধান্তের কী হবে, তাও আমরা চিঠিতে জানতে চেয়েছি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে।
তবে হলমার্কিং নিয়ে সমস্যার কথা ততটা মানতে রাজি নন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব হলমার্কিং সেন্টারের সর্বভারতীয় স্তরের প্রাক্তন সভাপতি হর্ষদ আজমেড়া। তিনি বলেন, গত আর্থিক বছরে ৪ কোটি ৩৯ লক্ষ গয়নায় হলমার্ক হয়েছে, যার ওজন ৪৫০ টন। কিন্তু হলমার্কিং সেন্টারগুলি তাদের ক্ষমতার মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করতে পেরেছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে সেন্টারগুলিতে কাজ বাড়বে। তারা লাভের মুখ দেখবে। তাছাড়া যে জুয়েলারি হাবগুলিতে সিংহভাগ গয়না উৎপাদিত হয়, সেখানে পর্যাপ্ত হলমার্কিং সেন্টার আছে। এর পরেও যদি দরকার হয়, তাহলে নতুন করে সেন্টার গড়তে সমস্যা হবে না।