বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কেরলের তিরুবনন্তপুরমে গতকাল, ১৭ জানুয়ারি থেকে তিনদিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বসেছে সিপিএম। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কিংবা এনআরসি-এনপিআর ইস্যুতে দল কীভাবে মোদি বিরোধিতা আরও তীব্র করবে, তাই এই বৈঠকের অন্যতম প্রধান এজেন্ডা। দিল্লিতে দলের সাম্প্রতিক পলিটব্যুরো বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেকোনও মোদি বিরোধী অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেবেন সিপিএম নেতারা। তাতেই সিলমোহর দিতে চলেছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি। এই পরিস্থিতিতেই কেরলের ভূমিকায় অস্বস্তিতে পড়েছে সিপিএম। জানা যাচ্ছে, আজ বৈঠকের প্রথমার্ধেই এই প্রশ্নে কেরল শিবিরকে চেপে ধরে সিপিএমের বঙ্গ এবং তামিলনাড়ু ব্রিগেড। তাঁরা প্রশ্ন করতে থাকেন, একদিকে কেরল যখন মোদি বিরোধী অবস্থান তীব্র করতে চাইছে, তখন তাদের গতকালের ভূমিকায় কী প্রমাণ হল? এতে পাল্টা বঙ্গ এবং তামিলনাড়ু শিবিরকে চেপে ধরার চেষ্টা করে কেরল। তারা বলতে থাকে, বৈঠকে শুধুই এনপিআর ইস্যু ছিল না। জনগণনাও ছিল। সরকারি প্রতিনিধি সেখানেও রাজ্যের অবস্থান জানিয়েছেন। এই যুক্তি না মেনে বরং হইচই করতে থাকেন দুই রাজ্যের প্রতিনিধিরা। তখনই আসরে নামেন বিজয়ন।
বৈঠকে তিনি জানান, কেরল যে সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআরের বিরোধিতা করছে, তা জানাতে এবং সেই অবস্থান সরকারিভাবে নথিবদ্ধ করতেই রাজ্যের সরকারি আধিকারিক উল্লিখিত বৈঠকে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে এসেছেন, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাচ্ছে না কেরল। কেরল শিবিরকে পাল্টা প্রশ্ন করে জানতে চাওয়া হয়, এই অবস্থানের কথা কি কেন্দ্রকে চিঠি লিখে জানানো যেত না? কেন্দ্রীয় সরকার এখন প্রচার করছে, কেরলও সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বৈঠকে হাজির হয়েছে। এতে কি দলের মুখ পুড়ল না?