বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
হঠাৎ করে বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে দিল্লিতে কেন এই ‘কালা আইন’ বলবৎ করা হচ্ছে? এই প্রশ্ন যেমন উঠছে, তেমনই বিরোধী দল আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, স্বৈরতন্ত্রের পদধ্বনিও শোনা যাচ্ছে মোদি সরকারের আমলে। দিল্লি থেকে শুরু। এরপর গোটা দেশে। যদিও দিল্লি পুলিশ বলেছে, এটা রুটিন প্রক্রিয়া। প্রত্যেক তিন মাস অন্তর এই আইন রিনিউ করা হয়। গত ১৪ জানুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশেও রিনিউ করা হয়েছে। দিল্লিতেও হয়েছে গত জুলাই ও অক্টোবর মাসে।
বিরোধীদের অভিযোগ, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন, বিক্ষোভ, অবস্থান চলছে দিল্লির জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় অথবা শাহিনবাগে। সেই আন্দোলন স্তিমিত হওয়ার কোনও লক্ষণও নেই, তাই মোদি সরকার এভাবে সন্ত্রাসের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চাইছে ‘কালা আইনে’র মাধ্যমে। শনিবার কলকাতায় প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেছেন, এই আইন দিল্লিতে কার্যকর করার অর্থ হল সরকার বিরোধীদের ভীত সন্ত্রস্ত করতে চায়। আইনটি ব্রিটিশদের আনা রাউলাট আইনের মতো। হঠাৎ কী এমন হল যে এই আইন প্রয়োগের অধিকার দিতে হল দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে? ঠিক দিল্লি বিধানসভা ভোটের আগে কেন? কেনই বা এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই এমন কড়া পদক্ষেপ?
তবে, বিরোধীদের তোলা এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দিল্লি পুলিশ আজ এক বিবৃতিতে বলেছে, ন্যাশনাল সিকিউরিটি আইন রিনিউ করা হয়েছে মাত্র। এটা নতুন কিছু নয়। একবার নির্দেশিকা জারির পর সেটা চালিয়ে যেতে হলে প্রত্যেক তিন মাস অন্তর রিনিউ করতে হয়। এই কারণে গত ১০ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, ১৯ জানুয়ারি থেকে ১৮ এপ্রিল সময়সীমায় পুলিশ কমিশনার ও জেলাশাসকদের এই অধিকার প্রদান করা হল। যদি তাঁরা মনে করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই আইন কার্যকর করার দরকার আছে তা হলে তাঁরা সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারেন। এর আগেও বহুবার এই একই আইন বলবৎ করা হয়েছে এবং রিনিউ করা হয়েছে।
১৯৮০ সালে ইন্দিরা গান্ধী লোকসভা ভোটে জয়ী হয়ে পুনরায় ক্ষমতায় আরোহণ করার পর এই আইন চালু করেছিলেন। দিল্লি পুলিশের বক্তব্য, প্রতি তিন মাস অন্তর এই আইনের নোটিফিকেশন রিনিউ করা হয়।