বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
অনেক সময়ই অভিযোগ ওঠে, অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা আর বয়স্ক মানুষদের সঙ্গে মিশছে না। তারা সম্পূর্ণ নিজেদের আলাদা জগৎ তৈরি করে ফেলছে। ফলে প্রবীণদের একাকিত্ব গ্রাস করছে অনেক বেশি। কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রকের এদিনের লিখিত জবাব থেকে স্পষ্ট, এহেন সমস্যার সমাধান করতেই এবার উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র সরকার। যদিও আজ লোকসভায় লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাওয়ারচাঁদ গেহলট জানিয়েছেন, ‘প্রবীণ মানুষেরা যাতে সামাজিক সুরক্ষিত জীবন কাটাতে পারেন, সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু স্কিম চালু করা হয়েছে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে ১৯৯৯ সালের ন্যাশনাল পলিসি ফর ওল্ডার পার্সনস বা ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান ফর সিনিয়র সিটিজেনসের মতো কর্মসূচি, তেমনই রয়েছে ইন্টিগ্রেডেট প্রোগ্রাম ফর সিনিয়র সিটিজেনস, রাষ্ট্রীয় বয়োশ্রী যোজনা, কিংবা ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওল্ড এজ পেনশন স্কিমের মতো প্রকল্প।’
এই ওল্ড এজ পেনশন প্রকল্পের সুবিধা পান দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী প্রবীণ মানুষেরাই। এক্ষেত্রে ৬০ থেকে ৭৯ বছর বয়সি প্রবীণদের জন্য মাসিক ২০০ টাকা করে এবং ৮০ বছর ও তার বেশি বয়সিদের জন্য মাসিক ৫০০ টাকা করে পেনশনের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে যাঁরা উল্লিখিত পেনশন প্রকল্পের আওতায় নেই, অথচ আর্থিকভাবেও স্বচ্ছল নন, সেইসব প্রবীণ মানুষের জন্য অন্নপূর্ণা স্কিম চালু করেছে কেন্দ্র। এর অধীনে নিখরচায় প্রতি মাসে ১০ কেজি করে খাদ্য শস্য পাবেন প্রবীণেরা। মন্ত্রী জানিয়েছেন, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল প্রবীণদের কথা মাথায় রেখেই অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আওতায় যেসব প্রবীণের কোনও সোশ্যাল সাপোর্ট নেই, তাঁদের ভর্তুকিযুক্ত দামে চাল এবং গম দেওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। প্রবীণদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর হেলথ কেয়ার অব এল্ডার্লি (এনপিএইচসিই) প্রকল্পও শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। এগুলির সঙ্গেই যুক্ত হচ্ছে ইন্টার-জেনারেশনাল বন্ডিং সংক্রান্ত একাধিক কর্মসূচিও।