বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এক বছর আগেই ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই ১৫টি আসনের মধ্যে ১২টি ছিল কংগ্রেসের হাতে। তার মধ্যে এবারের উপনির্বাচনে মাত্র দু’টি আসন— হুনাসুরু ও শিবাজিনগরে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। একই দশা কংগ্রেসের পুরনো জোটসঙ্গী জেডি(এস)-এরও। ২০১৮ সালে এই ১৫টি বিধানসভা আসনের মধ্যে তিনটিতে —কে আর পেটে, মহালক্ষ্মী লেআউট এবং হুনসুরে জয়ী হয়েছিল জেডি(এস)। কিন্তু এবারের উপনির্বাচনে ১২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি তারা।
জানা গিয়েছে, দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য শরৎ বাচেগৌড়াকে বহিষ্কার করেছিল বিজেপি। কিন্তু এবারের উপনির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে হোসকোটে আসনে জয়ী হয়েছেন তিনি। বাকি ১৪টি আসনের মধ্যে ১০টিতে ইতিমধ্যেই বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ইয়েল্লাপুরা আসনে আরাবেইল শিবরাম হেব্বার, কে আর পেটে আসনে নারায়ণ গৌড়া, হীরেকেরুর আসনে বি সি পাতিল, কাগওয়াড় আসনে শ্রীমন্ত পাতিল, আথানি আসনে মহেশ কুমথাল্লি, চিক্কাবল্লপুর আসনে কে সুধাকর, মহালক্ষ্মী লেআউট আসনে কে গোপালাইয়া, বিজয়নগর আসনে আনন্দ সিং, গোকাক আসনে রমেশ জারকিহোলি এবং রাণেবেন্নুর আসনে জয়ী হয়েছেন অরুণকুমার গুট্টুর। যশোবন্তপুর ও কে আর পুরম আসনেও এগিয়ে রয়েছেন দুই বিজেপি প্রার্থী— এস টি সোমশেখর এবং বৈরথ বাসবরাজ।
হিসেব অনুযায়ী, ২২৫ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখতে ১৫টি আসনের মধ্যে অন্তত ছ’টিতে জিতলেই চলত বিজেপির। কিন্তু এই ভোটে বিজেপির অপ্রত্যাশিত ফলে উচ্ছ্বসিত দলীয় নেতৃত্ব। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা এদিন বলেন, ‘ভোটাররা রায় দিয়েছেন। তার ফলই প্রকাশিত হয়েছে। এবার আমরা রাজ্যের উন্নয়নে মনোনিবেশ করব।’ আগামী সাড়ে তিন বছরে রাজ্যজুড়ে উন্নয়নমূলক কাজ চালাতে বিরোধীদের সমর্থনও চেয়েছেন তিনি। ইয়েদুরাপ্পা বলেন, ‘বিরোধীরা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করতে চাইছেন। কিন্তু তাঁদের কাছে আমার আবেদন, এখন থেকে আপনারা আমাদের সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করুন।’ ১৫টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ১৩ জন বহিষ্কৃত বিধায়ককে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস-জেডিএস-এর বহিষ্কৃত বিধায়কদের আমরা মন্ত্রী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসার কোনও প্রশ্নই নেই। আমরা তাঁদের মন্ত্রী পদে বসানোর পাশাপাশি প্রত্যেকের এলাকায় বিজেপির জনভিত্তি আরও জোরদার করার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও দেব।’
এদিকে, মাত্র দু’টি আসন— শিবাজিনগর এবং হুনাসুরুতে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের দুই প্রার্থী রিজওয়ান আরশাদ ও এইচ পি মঞ্জুনাথ। উপনির্বাচনে দলের এই ভরাডুবির দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গুন্ডু রাও। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে লেখা এক চিঠিতে এই ফল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন সিদ্ধারামাইয়া। জানিয়েছেন, উপনির্বাচনে দলকে প্রত্যাশিত ফল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। হারের নৈতিক দায় নিয়েই এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত। দলের এই ফলের দায় নিয়ে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি পাঠিয়ে পদত্যাগের কথা জানান গুন্ডু রাও।