বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মূলত শূকরের দেহ থেকে মশাবাহিত রোগ জাপানিজ এনসেফেলাইটিস ছড়ায়। এবং পোকামাকড়ের কামড় থেকে গরু, মোষ, ভেড়া, উট এবং ছাগলের মধ্যে ব্লুটাঙ্গ রোগ ছড়ায়। বছরে ৫০ থেকে ৬৮ হাজার জাপানি এনসেফেলাইটিসের শিকার হয়। মারাও যায় অনেকে। আগের চেয়ে এই রোগের আক্রমণ কমলেও সম্পূর্ণ বন্ধ হয়নি। উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে এখনও এই রোগের আক্রমণে অনেক সময়ই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তাই রোগের উত্পত্তি থেকেই প্রতিরোধের ওপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্র।
কৃষিমন্ত্রকের অধীন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর এগ্রিকালচার রিসার্চ (আইসিএআর) এবং ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আইভিআরআই) যৌথভাবে পরীক্ষামূলক পদ্ধতিতে দুটি কিট তৈরি করেছে। একটি শূকরের জন্য জাপানি এনসেফেলাইটিস এলিসা কিট। অন্যটি ব্লুটাঙ্গ স্যান্ডউইচ এলিসা। বিদেশি এক একটি কিটের জন্য যেখানে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়, সেখানে স্বদেশি এই এনসেফেলাইটিস প্রতিরোধী কিট মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় মিলবে বলেই কৃষিমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই প্রায় ১০৫০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করে ফেলেছে কেন্দ্র। এবার ভারতে তৈরি জাপানি এনসেফেলাইটিসের এই দাওয়াইয়ের পেটেন্টের দাবি করতে চলেছে কেন্দ্র। সেটি পেয়ে গেলে কেবল দেশেই নয়, বিদেশেও এই কিট রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। শূকরের দেহে জাপানি এনসেফেলাইটিসের ভাইরাস আছে কি না, তা অনেক সময়ই ধরা পড়ে না। তাই বিজ্ঞানীদের তৈরি এলিসার মাধ্যমে তা ধরা সহজ বলেই জানিয়েছে আইসিএকআর। একইভাবে ব্লুটাঙ্গ ভাইরাসের আক্রমণে প্রতি বছর যে গরু, ছাগলের মৃত্যু হয়, তাও রোখা সম্ভব হবে। দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই দুটি টিকার ব্যবহার বাড়াতে গোটা দেশে যে ৭১৫ টি কৃষিবজ্ঞান কেন্দ্র রয়েছে, তার মাধ্যমে প্রচার বাড়ানো হবে। এছাড়া মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচিতে পশুপালকদের এই কিট ব্যবহার করার জন্য উৎসাহ দিতে রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করবে কেন্দ্র।