বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত সেপ্টেম্বরেই সাভারকারকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারে। তিনি বলেন, ‘সাভারকার প্রধানমন্ত্রী হলে পাকিস্তানের জন্মই হতো না। আমি গান্ধীজি বা নেহরুকে ছোট করছি না। কিন্তু আমাদের দেশে আরও অনেক সুসন্তান ছিলেন। সাভারকার ১৪ বছর জেলযন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন।’ শুধু শিবসেনা নয়, এর আগে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন সাভারকারের ভারতরত্নের পক্ষে জোরদার দাবি তুলেছিল। এবার বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে সাভারকারের ভারতরত্নের প্রসঙ্গ উঠতেই সরব কংগ্রেস। প্রধান বিরোধী দলের মতে, মহাত্মা গান্ধীর জন্মের সার্ধশতবর্ষে যদি বিজেপি এই ধরনের কাণ্ড করে, তাহলে ভাগবানই পারবেন দেশকে রক্ষা করতে। সম্প্রতি গুজরাতের স্কুল পরীক্ষায় ‘গান্ধীজি কেন আত্মহত্যা করেছিলেন?’ প্রশ্ন আসার প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসের মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি বলেন, ‘যেদেশে পরীক্ষায় মহাত্মা গান্ধী আত্মহত্যা করেছিলেন বলা হয়, সেদেশে সব কিছুই সম্ভব।’ তিনি কাপুর কমিশনের উল্লেখ করে বলেন, মহাত্মা গান্ধীর হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সাভারকার। এই তথ্য কাপুর কমিশনেই রয়েছে। সরকারের গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। কংগ্রেসের পাশাপাশি সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা সমালোচনা করে বলেন, ‘ এটা আমাদের সময়ের সবথেকে বড় বিদ্রুপ। একদিকে সরকার গান্ধীজির জন্মের সার্ধশতবর্ষ পালনের উদ্যোগ নিচ্ছে, অন্যদিকে, তাঁরই হত্যার চক্রীকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। আর সেই দিন বেশি দূরে নেই, যখন গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকেও ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি উঠবে।’
সাভারকারকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবির পাশাপাশি নির্বাচনী ইস্তাহারে পাঁচ বছরের মধ্যে পাঁচ কোটি চাকরি এবং ২০২২ সালের মধ্যে সবার জন্য ঘরের প্রতিশ্রুতি দিল বিজেপি। ‘সঙ্কল্পপত্র’ নামের ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে নাড্ডার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।