বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সোমবার বাদল চৌধুরি তরফে তাঁর আইনজীবীরা আগরতলা জেলা আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন। সিপিএমের তরফে দাবি করা হয়েছে, আগাম জামিনের মামলার ফায়সালা না হওয়ার পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে জেলা দায়রা বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বাদলবাবু চার বারের বিধায়ক। বামফ্রন্ট সরকারের পূর্ত, স্বাস্থ্য, রাজস্ব প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে মন্ত্রী ছিলেন। এখন তিনি বিধানসভার উপ বিরোধী দলনেতার পদে আছেন। পুরো বিষয়টিকে বিজেপি-র চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাস। তাঁর বক্তব্য, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিতে এটা করা হচ্ছে। বিজেপি সরকার মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারছে না। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকা দেওয়ার জন্য মিথ্যা অভিযোগ এনে সিপিএম নেতাকে হয়রান করা হচ্ছে। যদিও রাজ্য বিজেপি জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী তদন্ত করে পুলিস ব্যবস্থা নিচ্ছে। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। সোমবারই বাদলবাবুর তরফে আইনজীবী আগরতলা জেলা আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন। ওই আবেদদের শুনানি অবশ্য সন্ধ্যা পর্যন্ত হয়নি।
ত্রিপুরায় পূর্ত দপ্তরের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে গত বেশ কয়েক মাস ধরে পুলিসি তৎপরতা চলছে। ২০০৮-০৯ আর্থিক বছরে পূর্ত দপ্তরের প্রকল্প রূপায়ণে দুর্নীতির তদন্ত হাতে নেয় ভিজিল্যান্স শাখা। বাদলবাবু সহ কয়েকজন আধিকারিককে জেরাও করা হয়। প্রায় ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্পে নির্মাণকারী রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি সংস্থাকে অতিরিক্ত টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে আগরতলা শহরের প্রথম উড়ালপুলটি আছে। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর বিজেপি সরকার বেশ কয়েক মাস এই ফ্লাইওভারটি চালু করেনি। নির্মাণকাজে ত্রুটি হয়েছে বলে সরকারি তরফে কারণ দেখানো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য চলতি মাসেই ফ্লাইওভারটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
পূর্ত দপ্তরের প্রকল্পে আর্থিক অনিয়ম নিয়ে কয়েক মাস আগে বিধানসভায় বিবৃতি দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। পূর্ত দপ্তরের দায়িত্বেও আছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় বিপ্লববাবু জানিয়েছিলেন, মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়া প্রায় দুশো কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করা হয়েছে। নির্ধারিত প্রকল্প মূল্যের থেকে ১০ শতাংশেরও বেশি খরচ করা হলেও তার জন্য মন্ত্রিসভার কোনও অনুমোদন নেওয়া হয়নি। তৎকালীন মুখ্যসচিব একটি নোটে ৩৫ শতাংশ বেশি খরচের কথা বলেন। সিপিএমের অবশ্য দাবি, বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি পূর্ত দপ্তরের প্রকল্পে কোনও অনিয়ম খুঁজে পায়নি। এই কমিটির বেশিরভাগ সদস্য বিজেপি-র।
রবিবার রাতে এফআইআর দাখিলের পর বাদলবাবুর সন্ধানে আগরতলায় সিপিএমের পার্টি অফিস সহ অন্যান্য জায়গায় হানা চলে। এর মধ্যে এক সিপিএম নেতার বাড়িও ছিল। বাদলবাবু ত্রিপুরা ছেড়ে চলে যেতে পারেন, এই আশঙ্কায় বিমানবন্দর ও রেল স্টেশনে নজরদারি চলছে।